বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ নেয়ার ব্যাপারে করণীয় ঠিক করতে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
মঙ্গলবার রাতে গুলশানের নিজ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে বঙ্গভবনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করবেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। শুরুর দিনেই বৈঠক করবেন বিএনপির সঙ্গে।
তবে এখনো রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে দলের পক্ষ থেকে কতজন সদস্য যাবেন এবং কারা যাবেন তা চূড়ান্ত করেনি বিএনপি। জানা গেছে, শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
মঙ্গলবার সকালে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের জানান, ‘রাতে চেয়ারপারসন শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তাতে চূড়ান্ত হবে সংলাপে কে কে অংশ নিবেন। বা কোনো কমিশনারের নাম প্রস্তাব করবে কিনা তাও সিদ্ধান্ত হবে।’
বিএনপি কী প্রস্তাব দেবে এমন প্রশ্নে দলটির মহাসচিব বলেন, চেয়ারপারসনের দেয়া প্রস্তাব আপনারা ভালোভাবে পড়লে দেখবেন আমরা কী কী প্রস্তাব করবো। কারণ সবকিছু ওই প্রস্তাবের মধ্যেই আছে।
গত ১৮ নভেম্বর রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে ১৩ দফা প্রস্তাব দেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। পরে গত ৩ ডিসেম্বর বঙ্গভবনে প্রস্তাবের অনুলিপি পৌঁছে দেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী। এর নয় দিন পর রবিবার বিএনপিকে আলোচনায় ডাকেন রাষ্ট্রপতি।
ওই দিনই বঙ্গভবনের আমন্ত্রণের কপি পৌঁছে যায় বিএনপি কার্যালয়ে। দলটি বলছে, এই আলোচনা তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আগামী ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষে যে কমিশন দায়িত্ব নেবে, তাদের অধীনেই হবে আগামী জাতীয় নির্বাচন।
২০১২ সালে নির্বাচন কমিশন গঠনের আগেও সে সময়ের রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। তখন বিএনপিও সেই আলোচনায় অংশ নিয়েছিল। তবে নির্বাচন কমিশনে নিয়োগে কোনো নাম তারা প্রস্তাব করেনি। আর কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনকে শুরু থেকেই আক্রমণ করে এসেছেন বিএনপির নেতারা।