অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) জাকির হোসেনের বাসার কিশোর্রী গৃহকর্মী রাজিয়া খাতুনের (১৩) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে বরিশালে।
সোমবার রাত সোয়া ১০টার দিকে বাসার গ্রিলের সঙ্গে মেয়েটিকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের লোকজন। পরে উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাসুদ মোল্লা মেয়েটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে।’
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন বলেন, ‘বেশ কবছর ধরেই মেয়েটি আমার বাসায় কাজ করছে। সে হিজলা উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়নের খুন্না গোবিন্দপুর গ্রামের নূরুল ইসলাম ঢালীর মেয়ে। হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা থাকাকালীন সময় থেকে রাজিয়া আমার বাসায় থাকে। পরে আমি বরিশালে বদলি হয়ে আসলে সেও আমাদের সঙ্গে বরিশালে আসে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বরিশাল নগরীর জর্ডন রোড এলাকায় বর্তমান ভাড়া বাসায় থাকাকালে মেয়েটির সঙ্গে পাশের বাসার কাজের ছেলে বরিশাল সদর উপজেলার কালীজিরা এলাকার মিলনের (১৫) সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। বিষয়টি আমার স্ত্রী বুঝতে পেরে মেয়েটিকে বকা-ঝকা করেন এবং তার বাবাকে বিষয়টি জানিয়ে রাজিয়াকে নিয়ে যেতে বলেন। এতে ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে সোমবার রাত পৌনে ১০টা নাগাদ বাসার গ্রিলের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’
বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আওলাদ হোসেন জানান, ‘গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মেয়েটিকে এডিএমর পরিবারের সদস্যরাই উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। মৃত্যুর কারণ সর্ম্পকে এখনই স্পষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সুরতহাল রিপোর্ট ও ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসার পরেই সঠিক কারণ জানা যাবে।’
এদিকে মিলনের খোঁজ নিতে গিয়ে জানা যায়, সোমবার রাত থেকে সেও নিখোঁজ রয়েছ। বাড়ির মালিক শাহাবুদ্দিন জানান, ‘সোমবার দুপুরে বের হওয়ার পর মিলন আর বাসায় ফেরেনি। পরে রাতে ফোন করে জানায় সে দুর্ঘনায় পড়ে এখন হাসপাতালে আছে। পরে ফোন ব্যাক করা হলে অপরিচিত এক তরুণ ফোন রিসিভ করে জানায় মিলন তার বন্ধু। সে তার বাসায় বেড়াতে গিয়েছিল। পরবর্তিতে আবার ফোন দেওয়া হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।’