মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের একটি দল বাংলাদেশের ৪৫ তম বিজয় দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় যাচ্ছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ৭২ সদস্যবিশিষ্ট দলটির নেতৃত্ব দেবেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে তাদের সম্মাননা জানানো হবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া খবরটি নিশ্চিত করেছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি বছরই ১৬ ডিসেম্বর ভারতীয় সেনা বাহিনী বড় পরিসরে বাংলাদেশের বিজয় দিবসের দিনটি উদযাপন করে থাকে। এ দিনটিকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নিজেদেরও বিজয়ের দিন বলে মনে করে থাকে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এদিন মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণ করা হয়।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার থেকে প্রিনসেপ মেমোরিয়ালে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে। এ আয়োজন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
” onclick=”return false;” href=”http://cdn.banglatribune.com/contents/cache/images/800x0x1/uploads/media/2016/12/13/93a0b8219eb1f3adf8cecdaa9296b385-584f83eb7183d.jpg” title=”” id=”media_1″ class=”jw_media_holder media_image jwMediaContent aligncenter”>
বুধবার আরসিজিসি গ্রাউন্ডে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনী স্কাইডাইভিংসহ বিভিন্ন মহড়া প্রদর্শন করবে। এটিও সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ১৯৭১-এ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শুক্রবার বিজয় স্মারকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।
ভারতের এমজিজিএস ইস্টার্ন কমান্ড মেজর জেনারেল আর নাগরাজ বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশাল সংখ্যক ভারতীয় কর্মকর্তা, জেসিও এবং সেনা সদস্য শহীদ হয়েছেন। ১২ হাজারের মতো ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তাদের প্রাণের বিনিময়ে আমরা বাংলাদেশের মানুষকে তাদের অধিকারের জায়গা ফিরে পেতে সহায়তা করেছিলাম। কেবল পূর্বাঞ্চলেই, আমরা পশ্চিমেও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে কোণঠাসা করে দিয়েছিলাম, প্রায় ১৫ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা আয়ত্ত্বে নিয়েছিলাম।’
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত যখন পাকিস্তান সমর্থিত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেশীদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছে তখন বিজয় দিবস উদযাপনের জন্য আসাদুজ্জামান খানের মতো জেষ্ঠ্য নেতার ভারত সফর তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা, এ বছরের অক্টোবরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, পাকিস্তান থেকে হামলা হলে ভারতের সঙ্গে থাকবে বাংলাদেশ।