উচ্চ পদস্থ সিনেটররা যুক্তরাষ্ট্রে এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়টি নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে । এ গ্রুপে রয়েছেন রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট উভয় দলের সিনেটর। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ বলেছে, নির্বাচনে ডনাল্ড ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে ও হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করতে সহায়তা করেছে রাশিয়া। এ ছাড়া এনবিসি টেলিভিশনের ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে রাশিয়ায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত মাইকেল ম্যাকফল বলেছেন, হিলারি ক্লিনটনের ওপর প্রতিশোধ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন মনে করেন, ২০১১ সালে সেখানকার পার্লামেন্ট নির্বাচনের সময় হস্তক্ষেপ করেছিলেন হিলারি। এর শোধ নিতে তিনি এবার যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছেন, যাতে হিলারি পরাজিত হন। এ রিপোর্টের পর সেখানকার রাজনীতিতে তোলপাড় চলছে। তাই সিআইএ’র রিপোর্টের পর মুখ খুলেছেন রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট সিনেটররা। এ গ্রুপে রয়েছে দু’জন উচ্চ পদস্থ রিপাবলিকান ও দু’জন ডেমোক্রেট সিনেটর। তারা হলেন সিনেটে ডেমোক্রেটিক দলের পরবর্তী নেতা সিনেটর চাক শুমার, আর্মড সার্ভিসেস কমিটির ডেমোক্রেট নেতা সিনেটর জ্যাক রিড। রিপাবলিকান দলের আর্মড সাভিসেস কমিটির চেয়ারম্যান সিনেটর জন ম্যাককেইন, সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম। তারা রোববার সকালে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তাতে তারা বলেছেন, আমাদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়ে প্রতিটি মার্কিনির সতর্ক বা উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। কংগ্রেসের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি সাইবার নিরাপত্তার জটিল চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমৎকারভাবে কাজ করেছে। কিন্তু সম্প্রতি যে রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে তাতে দেখা যায় আরও অনেক কাজ করতে হবে। গোপনীয় (ক্লাসিফায়েড) ডকুমেন্টগুলো সুরক্ষিত করার পাশাপাশি সাম্প্রতিক সাইবার হামলার বিষয়ে জনগণকে জানানোর বাধ্যবাধকতা আছে আমাদের। ওই হামলায় আমাদের মুক্ত সমাজের হৃদয় খ- বিখন্ড হয়ে গেছে। তাই ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকানদের অবশ্যই সাম্প্রতিক এই ঘটনা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করতে এক হয়ে কাজ করতে হবে। একই সঙ্গে ভবিষ্যত সাইবার হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার সমাধান বের করতে হবে। সিনেটরদের এমন চিঠিকে ট্রাম্পের প্রতি তিরস্কার হিসেবে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডনাল্ড ট্রাম্প রোববার সকালে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতি নতুন করে তার বিদ্রুপ প্রকাশ করেছেন। রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছিল গোয়েন্দা সংস্থার এমন রিপোর্টকে হাস্যকর হিসেবে অভিহিত করেন তিনি। ‘ফক্স নিউজ সানডে’তে তিনি এক সাক্ষাতকারে বলেন, এটা (এমন রিপোর্ট) আরেকটি অজুহাত। আমি এ রিপোর্ট বিশ্বাস করি না। দু’দিন আগে তিনি সিআইএ’র রিপোর্টের জবাবে রাশিয়ার পক্ষ নেন। রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের কারণে ওই সংস্থাকে আক্রমণ করে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেছিলেন, এরা সেই সব মানুষ, যারা বলেছিল (ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট) সাদ্দাম হোসেনের কাছে ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র আছে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন শেষ হয়ে গেছে অনেক আগে। এটা ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটে অন্যতম এক বিজয়। এখন সময় সামনে এগিয়ে যাওয়ার ও ‘আমেরিকাকে আবার গ্রেট বানানোর’।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | ||||||
2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 |
9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 |
16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 | 22 |
23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 | 29 |
30 | 31 |