দেশ নয়, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।
মহাসংকটে রয়েছেন। গতকাল দলের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এই মন্তব্য করেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাঠানো এক বিবৃতির জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদার বিবৃতি দলটির চিরায়ত মিথ্যাচারের নতুন সংস্করণ। বিবৃতিতে তিনি বলেন, পেট্রলবোমা মেরে নিরীহ জনগণ হত্যা, পার্কিং করা তালাবদ্ধ গাড়িতে আগুন দিয়ে ঘুমন্ত বাস শ্রমিককে পুড়িয়ে হত্যা, পথচারী ছাত্রীকে বোমা মেরে আহত করা, কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হত্যা করা, ক্ষমতায় বসে সরকারি বাহিনীকে অপব্যবহার করে অগণিত প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক কর্মী হত্যার মাস্টারমাইন্ড বেগম খালেদা জিয়া যখন মানবাধিকারের পক্ষে বিবৃতি দেন সেটি কেবল হাস্যরসের উদ্রেক করে। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক উন্নত ও স্থিতিশীল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা গ্যালাপের সাম্প্রতিক জরিপে প্রকাশিত হয়েছে- ১৪১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি প্রথম ৩০টি রাষ্ট্রের মধ্যে। এই জরিপে বাংলাদেশের অবস্থান যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার চেয়েও উপরে এবং জাপান ও নিউজিল্যান্ডের সমপর্যায়ে। সেখানে বেগম জিয়ার মিথ্যাচার কেবল অন্তঃসারশূন্যই নয়, প্রতিহিংসার নতুন বহিঃপ্রকাশ। মহান রাষ্ট্রনায়ক, দেশরত্ন শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন টেকসই উন্নয়ন এবং জনকল্যাণের পথে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। দেশের এই উন্নয়নে সমগ্র দেশবাসী স্বস্তিতে রয়েছেন। জনগণ নতুন স্বপ্ন ও আশায় উজ্জ্বীবিত হয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজ করে চলেছে। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া দেশ ও জাতির এই উন্নয়ন ও কল্যাণ সহ্য করতে পারছেন না। প্রতিহিংসার অন্তর্জ্বালায় তিনি জ্বলছেন। সুতরাং দেশ নয়, স্বয়ং বেগম খালেদা জিয়াই এখন মহাসংকটে রয়েছেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখনো খালেদা জিয়া ও তারেকের নৃশংসতার কথা ভুলে যায়নি। খালেদা জিয়া যখন মানবাধিকারের কথা বলেন তখন তার ও তার পুত্রের নৃশংসতার শিকার অজাতশত্রু রাজনীতিবিদ, খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ শাহ এএমএস কিবরিয়া, শ্রমিক নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টার, মঞ্জুরুল ইমাম, মমতাজ উদ্দিন, গোপাল কৃষ্ণ মুহুরিসহ আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মীর বিদেহী আত্মা নতুন করে কষ্ট পায়। যিনি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ২১শে আগস্টে দেশের প্রধান রাজনৈতিক নেতা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে গ্রেনেড মেরে হত্যার মতো নৃশংসতায় উন্মত্ত হন তিনি আবার মানবাধিকারের কথা বলেন। পেট্রলবোমায় দেড় শতাধিক নিহতের পরিবার এবং আগুনে পোড়া অসহায় মানুষের আর্তনাদে এখনো বাংলাদেশের বাতাস ভারী হয়ে আছে। যার আগ্রাসী সন্ত্রাসী হামলা থেকে গর্ভবতী মা, অবোধ শিশুসহ নিরীহ জনগণ কেউই রেহাই পায় না- তার মুখে মানবাধিকারের বাণী বড়ই বেমানান। ক্ষমতা এবং ক্ষমতার বাইরে থেকে যখন নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছেন তখন মানবাধিকারের জন্য আপনার মায়াকান্না কোথায় ছিল? ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ও কল্যাণের অগ্রযাত্রায় দিশাহারা, দিকভ্রান্ত বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতিহিংসার মানসিকতা পরিত্যাগ করে ইতিবাচক রাজনৈতিক ধারা ধারণ করার আহ্বান জানান।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | 4 | 5 | ||
6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12 |
13 | 14 | 15 | 16 | 17 | 18 | 19 |
20 | 21 | 22 | 23 | 24 | 25 | 26 |
27 | 28 | 29 | 30 | 31 |