দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে উন্নতমানের টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন।ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রমের পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আয়োজিত কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যেসব জেলায় সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট নেই, সেসব জেলায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দক্ষ মানুষ তৈরির জন্য দেশে বেসরকারি উদ্যোগে কারিগরি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ফলে বেসরকারি পর্যায়ে দেশে ৪৫৭টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ শিক্ষার্থী কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা গ্রহণ করছে।’
কারিগরি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মান উন্নয়ন বিষয়ে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘৪৫০ জন শিক্ষককে সিঙ্গাপুরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আরও ১হাজার ১৫০ জন শিক্ষক বর্তমানে সিঙ্গাপুরে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। চীনে প্রশিক্ষণের জন্য আরও ৫৮১ জন শিক্ষককে পাঠানো হবে।’
সব শিক্ষককেই পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নের জন্য এ মাসেই ১২ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তি স্বাক্ষর হবে।’ এছাড়া আগামী ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালনকারী অতিরিক্ত সচিব ড. অরুণা বিশ্বাস, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস ও এ কে এম জাকির হোসেন ভূইয়া এবং আইডিইবির সভাপতি এ কে এম এ হামিদ বক্তব্য রাখেন।