নভেম্বর দিয়েছে ট্রাম্প। জুন দিয়েছে ব্রেক্সিট। ডিসেম্বর কী দেবে? ইটালেক্সিট না অন্য কিছু? এই প্রশ্ন এখন ইউরোপে, দুনিয়ায়। সম্ভবত আজ রোববারই নির্ধারিত হয়ে যাবে। এক গণভোট এনেছে ব্রেক্সিট। ফলশ্রুতিতে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। এমনকি রাজনীতি থেকেও। ইউরোপের রাজনীতিতেও এনে দিয়েছে এক বড় ধরনের পরিবর্তন। দেশে দেশে এখন ব্রেক্সিট মডেল। যুক্তরাষ্ট্রেও সব ওলটপালট হয়ে গেছে। ডনাল্ড ট্রাম্প দুনিয়াকে অবাক করে দিয়ে প্রেসিডেন্ট হয়ে গেছেন। এটা নাকি ব্রেক্সিট, ব্রেক্সিট প্লাস। আজ ইতালিতে উচ্চ ঝুঁকির এক গণভোট। এক ধরনের আতঙ্ক এই গণভোট নিয়ে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ম্যাথিও রেনজি কিছু সাংবিধানিক সংস্কার চান। এ জন্যই গণভোটের আয়োজন। বরাবরই অস্থির রাজনীতি ইতালিতে। ভাবা যায় ৫৮ বছরে ৬৩টি সরকার। ভোট হবে হ্যাঁ বা না ব্যালটে। এক পক্ষ সংস্কারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তাদের কথা, প্রধানমন্ত্রী এই সংস্কারের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা আরো কুক্ষিগত করতে চান। এর বিরুদ্ধে শুরু হয় আন্দোলন। যা কিনা ‘ফাইভ স্টার’ আন্দোলন হিসেবে পরিচিত। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন বিরোধী রাজনীতিকরা। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বেশকিছু আইন প্রণেতা এই মিছিলে যোগ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী রেনজি বলেছেন, এই সংস্কার তার জন্য নয়। দেশের জন্য। জনগণের জন্য। ইতালির ভবিষ্যতের জন্য। জনগণ না চাইলে সংস্কার হবে না। এটাও বলেছেন রেনজি। রেনজি গণভোটে হেরে গেলে তাকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে। তিনি এ জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত। এমন ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন। ডেভিড ক্যামেরন ঝুঁকি নিয়েছিলেন। ম্যাথিও রেনজির ঝুঁকিও কম নয়।
সংস্কারের পক্ষে-বিপক্ষে দেশটি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। জনমত জরিপে কখনো হ্যাঁ এগিয়ে কখনো না। মাঝখানে তের ভাগ মানুষ। যারা কোনো পক্ষেই নেই। শেষ মুহূর্তে এরা কি করবে? ভবিষ্যৎ কিন্তু এদের ওপর শতভাগ নির্ভরশীল। রেনজি যদি হেরে যান তাহলে এটা হবে ইটালেক্সিট। গভীর রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি হবে। নতুন এক নির্বাচনের দিকে যাবে দেশটি। ইউরোপে তৈরি হবে আরেক সংকট। ২৮ জাতির এই জোটটিকে ধরে রাখা তখন হয়তো সম্ভব হবে না।
২০১৬ বিশ্ব রাজনীতিতে এনে দিয়েছে নানা চমক। বিস্ময়কর যা কিছু ঘটেছে এই সময়ে। ইতালির জনগণ কোন্‌টা বেছে নেবেন। রেনজির সংস্কার নাকি পপুলিস্ট জাগরণ।

Share Now
December 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031