র্যাব চট্টগ্রাম সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর থেকে সাত লাখ ইয়াবার একটি চালান আটকের পর পাচারকারীরা দেশের দক্ষিণাঞ্চলকেই এখন মিয়ানমার থেকে আনা ইয়াবা চালানের নতুন গন্তব্য করেছে বলে জানিয়েছে।
তারা বলছে, চট্টগ্রাম উপকূলে ও নগরীতে নিয়মিত ইয়াবাবিরোধী অভিযান চলায় এই পথ বেছে নিয়েছে পাচারকারীরা।
সোমবার গভীর রাতে চট্টগ্রামে ২৮ কোটি টাকার ইয়াবাসহ ৭ জনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৭) সদস্যরা। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ২৮ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রামের গভীর সমুদ্রে একটি মাছ ধরার ট্রলারে অভিযান চালিয়ে এসব ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে ট্রলার থেকে থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন, মো. ফারুক (২৯), মো. নবী হোসেন (৩৮), মো. ইসাক (৩০), মো. শরিফ হোসেন (৩৭), মো. ফারুক (৩৮), মো. সামছুল (১৯), নুরুল আমিন (৩৯)।
বিকেলে পতেঙ্গাস্থ র্যাব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমদ।
তিনি জানান, গভীর সমুদ্রে এমভি রিফা নামের মাছ ধরার ট্রলারটিকে ধাওয়া করে আটক করা হয়। পরে তল্লাশি চালিয়ে ট্রলারের পাটাতনের নিচে লুকানো ইয়াবাগুলো উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২৮ কোটি টাকা।
আটকরা পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা এ পর্যন্ত তিন দফায় ৬ লাখ ইয়াবা মিয়ানমার থেকে বরিশালে নিয়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব অধিনায়ক বলেন, এবছর জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৬৭ লাখ ৮৫ হাজার ৭৮২ পিস ইয়াবা, ১ কেজি হেরোইন, ২ কেজি আফিম, ২১ হাজার ২১ বোতল ফেনসিডিল, ১ হাজার ৪৫৯ বোতল বিদেশি মদ, ২০২ ক্যান বিয়ার, ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৪৭ লিটার দেশীয় তৈরি মদ এবং ৮২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।