মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা নগরীতে ১৭০০ পিস ইয়াবাসহ পুলিশের এক সহকারি উপ–পরিদর্শককে (এ এসআই) আটক করেছে। রিদোয়ানুল ইসলাম নামের পুলিশের ওই এএসআই বাকলিয়া থানায় কর্মরত আছেন। ওই ঘটনায় একই সাথে এক নারীসহ আরো দুইজনকে আটক করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। গতকাল রাত ১২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সিএমপির বেশ কয়জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে অবস্থান করছিলেন। আর অভিযোগ ওঠায় রিদোয়ানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
জানা যায়– গতকাল বিকেল চারটার দিকে একটি প্রাইভেট কারে (নং– চট্টমেট্টো–গ–১১–৪৬৯৪) সদরঘাট থানাধীন আইস ফ্যাক্টরি সড়ক দিয়ে দ্রুত বেগে আসছিলেন এএসআই রিদোয়ান। এসময় এক নারীসহ তার সাথে আরো দুইজন ওই গাড়িতে ছিলেন। সরকারি সিটি কলেজের সামনে পৌঁছলে গাড়ি থামিয়ে চ্যালেঞ্জ করে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের একটি দল। এসময় তল্লাশি চালিয়ে ১ হাজার ৭’শ পিস ইয়াবা পান অধিদফতরের কর্মকর্তারা। পরে তাদের তিনজনকেই আটক করা হয়।
এ প্রসঙ্গে বাকলিয়া থানার ওসি আবুল মনছুর জানান– এএসআই রিদোয়ান গত ১৮ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর (আগামীকাল) পর্যন্ত বিপিএল খেলা উপলক্ষে সিএমপি হেড কোয়ার্টারে ন্যস্ত ছিলেন। শনিবারও স্টেডিয়ামের পাওয়ার সাপ্লাই রুমে তার ডিউটি ছিল। ইয়াবাসহ আটকের বিষয়টি শুনেছেন বলেও জানান তিনি।