স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ ৩৩ জনের নামে মামলা করা হয়েছে গোবিন্দগঞ্জের আদিবাসী সাঁওতাল পল্লীতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় । অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে আরও ৩ জনকে। আজ শনিবার নিজেরা করি, আইন শালিশ কেন্দ্র ও ব্লাষ্ট নামের তিনটি মানবাধিকার সংগঠনের সহযোগিতায় ছমাস হেমব্রম বাদী হয়ে গাইবান্ধা-৪ গোবিন্দগঞ্জ আসনের এমপি আবুল কালাম আজাদ, রংপুর চিনিকলের এমডি আব্দুল আউয়াল, ইউএনও আব্দুল হান্নান, গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার, ইউপি চেয়ারম্যান বুলবুল আকন্দ সহ ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। আজ দুপুরে মামলা গ্রহন করেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার। মামলার বাদী আদিবাসী ছমাস হেমব্রম সাংবাদিকদেরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। মামলার এজহারে বলা হয়, আদিবাসী সাঁওতালরা তাদের বাপ দাদার সম্পতি দাবী করে দীঘদিন যাবৎ বাগদা ফার্মের ৬ শ একর জমিতে বসবাস করে আসছে। রংপুর চিনিকল কর্তৃপক্ষ পুলিশ ও মিলের শ্রমিকদের নিয়ে কয়েক দফা সাওতাল পল্লী উচ্ছেদের চেষ্টা করে। গত ৬ নভেম্বর চিনিকল কর্তৃপক্ষ ম্যাজিষ্ট্রেট পুলিশ ও শ্রমিকদের নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালায়। এসময় সাঁওতালরা তীর ধনুক নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এসময় পুলিশের গুলিতে প্রথমে একজন সাঁওতাল মারা যায়। পরের দিন আরও ১ জন নিহত হয়। অপরদিকে সাঁওতালদের তীরবিদ্ধ হয়ে আহত হন ৯ পুলিশসহ ৩০ জন। পুড়িয়ে দেয়া হয় সাঁওতাল পল্লী। পরে তারা স্থানীয় মাদারপুর ও জয়পুর সাঁওতাল পল্লীতে আশ্রয় নেয়। ঘটনার পর স্বপন মুর্মু নামের এক সাঁওতাল বাদী হয়ে অঞ্জাত ৬ শ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031