ওবায়দুল কাদের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী নিজের কাজে সন্তুষ্ট নন । তিনি মনে করেন, গুরুত্বপূর্ণ পদে যথেষ্ট সফল হতে পারেননি তিনি।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীতে মোটর চালক লীগের এক আলোচনায় ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মন্ত্রী হিসেবে অনেকে আমার সফলতার কথা বলেন, কিন্তু আমি নিজেকে সফল মনে করি না।
কেন নিজেকে ব্যর্থ বলছেন- সেই ব্যাখ্যাও দেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, ‘সড়কে দুর্ঘটনা ও যানজট দূর করতে পারিনি। এ দুটি বিষয় দৃশ্যমান ব্যর্থতা রয়েছে।
মন্ত্রী হিসেবে কী কী চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সে নিয়েও কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আমার মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে পরিবহন ও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। এই চ্যালেঞ্জে আপনাদের সহযোগিতা চাই।’
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে চালকদের প্রশিক্ষণ দিতে একটি ইনস্টিটিউটের কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, এরা কাজ শুরু করলে যথেষ্ট দক্ষ চালক পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, অদক্ষ চালক দুর্ঘটনার কারণ।’
অপ্রাপ্তবয়স্কদের হাতে গাড়ির স্টিয়ারিং তুলে না দিতে জ্যেষ্ঠ চালকদের অনুরোধ করেন সড়কমন্ত্রী। বলেন, ‘আমি আপনাদেরকে অনুরোধ করবো বাচ্চাদেরকে, শিশুদেরকে ড্রাইভার বানাবেন না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘যানজট আর দুর্ঘটনার জন্য দায়ী আমাদের মন-মানসিকতা। মন-মানসিকতা পরিবর্তন না হলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে না। শৃঙ্খলা না আসলে দুর্ঘটনা বা যানজট হবেই।’
নারী চালকের সংখ্যা বাড়ানোর উপর জোর দিয়ে সড়ক মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে আরও মহিলা ড্রাইভার দরকার। মহিলাদের মাথা ঠান্ডা থাকে। মহিলারা গাড়ি চালালে ঝুঁকি থাকে না।’
তবে চালকরা সবাই খারাপ-এমন ঢালাও অভিযোগে বিশ্বাস করেন না সড়কমন্ত্রী। বলেন, ‘পুরুষদের মধ্যেও অনেক দক্ষ চালক আছেন, তা না হলে তো বাংলাদেশে খালি দুর্ঘটনাই ঘটতো।’
গণতন্ত্রকে রক্তাক্ত করতে চায় বিএনপি
আলোচনায় বিএনপিরও কড়া সমালোচনা করেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বেপরোয়া চালকের মতো গণতন্ত্রকে রক্তাক্ত করার চক্রান্ত করছেন তারা। যারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে, নির্বাচনে না এসে ভুল করেছে তারা আজ দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর পেট্রল বোমা দিয়ে গাড়ি চালকদেরকে পুড়িয়ে মারার পাশাশি গণতন্ত্রকেও পুড়িয়ে দিতে চেয়েছিল বিএনপি। আজও গণতন্ত্রকে পুড়িয়ে মারার, গুলি করে হত্যা করার, রক্তাক্ত করার চক্রান্ত চলছে।
মোটর চালক লীগের সভাপতি আলী হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শেখর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।