অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সভাপতি বলেছেন, বিগত দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া গণতন্ত্রের স্বপক্ষে দেয়া বক্তব্যের পথ ধরেই বাংলাদেশ আবার গণতন্ত্রের পথে ফিরতে পারে। তিনি বলেন, এ জন্য তিনি তার দল বিকল্পধারার কয়েকজনকে দিয়ে একটি কমিটি করে দিয়েছেন, যারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিগত দিনের বক্তব্যগুলো খুঁজে বের করবেন। এবং তিনি তা জাতির সামনে পেশ করবেন। রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনায় সভায় এসব কথা বলেন। সংগঠনের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, সিপিবির প্রেসিডিয়ামের সদস্য হায়দার আকবর খান রনোসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন। সরকার যদি মিনিমাম নিরপেক্ষ না হয়, তাহলে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনে কোনও লাভ নেই বলে মত দেন বিকল্পধারার সভাপতি। তিনি বলেন, বিগত নির্বাচন যেগুলো নিরপেক্ষ হয়েছে, সেগুলো সব নিরপেক্ষ সরকারের কারণে। ওই সরকারগুলো কিছুটা নিউট্রাল ছিল বলেই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। এ কারণে ওই সময় কারা কমিশনার ছিল, এ নিয়ে মাথা ব্যাথা ছিল না। প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ওই সময় মওলানা ভাসানীকে অন্তরীণ করা হয়েছিল। জাসদের ত্রিশ হাজার নেতাকর্মীকে খুন করা হয়েছিল। সিরাজ শিকদারের মত দেশপ্রেমিক ব্যাক্তিকে ক্রসফায়ার করে হত্যা করা হয়েছিল।
বিএনপির ইসি গঠন প্রস্তাব নাকচ করে দেয়ার নৈপথ্যে ফখরুল মনে করেন, সরকার ২০১৪ সালের নির্বাচন যেভাবে হয়েছিল, সেরকমই একটি নির্বাচন করতে চায়। তিনি বলেন, প্রস্তাব দিয়েছি, ৫ মিনিটও যায়নি, নাচক করে দিয়েছে। সিপিবির প্রেসিডিয়ামের সদস্য হায়দার আকবর খান রনো বলেন, মওলানা ভাসানীর প্রধান দিক হল তিনি মেহনতি ও শ্রমিক মানুষের নেতা ছিলেন। ১৯৫৭ সালে স্বায়ত্বশাসনের স্বপ্নও ভাসানীই দেখিয়েছিলেন বলে জানান রনো। সভাপতির বক্তব্যে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আজকের পাঠ্যবইয়ে মওলানা ভাসানীর জন্য একটি পৃষ্ঠাও নেই। শেখ মুজিব বেঁচে থাকলেও এগুলো এলাউ করতেন না। জাফরুল্লাহ সবগুলো দলকে গণতন্ত্রের জন্য সম্মিলিত বিরোধী দল হয়ে আন্দোলনে নামার আহ্বান জানান। জাফরুল্লাহ চৌধুরী শনিবার শহীদ মিনারে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের বিরুদ্ধে জাতীয় কমিটির মহাসমাবেশে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান। পাশাপাশি শান্তির পতাকা নিয়ে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | 4 | 5 | ||
6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12 |
13 | 14 | 15 | 16 | 17 | 18 | 19 |
20 | 21 | 22 | 23 | 24 | 25 | 26 |
27 | 28 | 29 | 30 | 31 |