ইন্টারনেট একদিকে আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করেছে এবং অন্যদিকে ফেলেছে নিরাপত্তাহীনতার মুখে। ইন্টারনেটের বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে হ্যাকারদের দৌরাত্ম্য। তারা নানান উপায়ে তথ্য চুরি করে গ্রাকদের বিপদে ফেলছে।
বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তাদের তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। বলতে গেলে তারা এক রকম হুমকির মধ্যে রয়েছেন। দিন যত যাচ্ছে এই হুমকি ততোই বেড়ে চলছে।
তাই ইন্টারনেটে নিরাপদ থাকতে নিজেকেই সচেতন থাকতে হবে। পাশাপাশি কিছু কৌশল অবলম্বন করলে এই হুমকি অনেকটা কমে যায়। আসুন দেখে নিই সেরকম কিছু কৌশল-
১. কম্পিউটারে আপনার অনেক তথ্য যেমন- বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাসওয়ার্ড, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর ইত্যাদি সংরক্ষণ করা থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার কম্পিউটার থেকে যেকেউ এসব পাসওয়ার্ড চুরি করে আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে। অনেক সময় নিজের ভুলেও এই কাজটি হয়ে থাকে।
এটা মূলত তখনই হয় যখন আমরা পুরনো কম্পিউটার বিক্রি করে দিয়ে নতুন কম্পিউটার ব্যবহার শুরু করি। বিক্রয়ের সময় সব ডাটা হয়তো ডিলিট করা হয় কিন্তু এগুলো স্থায়ীভাবে ডিলিট হয়েছে কিনা সেটাই হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা স্থায়ীভাবে ডিলিট না হলে সেসব ডাটা পুনরায় ফিরিয়ে আনা যায়।
আর তাই কম্পিউটার থেকে সব তথ্য স্থায়ীভাবে মুছে দিতে হবে। সেজন্য বিনামূল্যে কিছু সফটওয়্যার পাওয়া যায় যেগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে ডিবিএএন, সি-ক্লিনার, ইরেজার ইত্যাদি।
এই কাজটি যদি আপনি অ্যান্ড্রয়েড ফোনে করতে চান তবে শেয়ার-ড্রয়েট অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেন। এরজন্য আপনাকে কোনও মূল্য পরিশোধ করতে হবে না।
২. আপনি যদি কোনও পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার না করে থাকেন তবে এখন থেকেই সেটার ব্যবহার শুরু করতে হবে। বর্তমানে অনেক পাসওয়ার্ড ম্যানেজার বিনামূল্যে পাওয়া যায়। এরমধ্যে কয়েকটি হলো- লাস্ট-পাস, লগ-মি-ওয়ান্স, কি-পাস ইত্যাদি। এসব পাসওয়ার্ড ম্যানেজার গ্রাহককে জটিল সব পাসওয়ার্ড তৈরিতে এবং সেগুলো মনে রাখতেও সাহায্য করে।
অনেক সময় সব জায়গায় একই পাসওয়ার্ড ব্যবহারের ফলে একটি হ্যাক হওয়ার পর ব্যবহারকারীর সব আইডিই হ্যাক হতে থাকে। এই সমস্যা সমাধানের জন্যই পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করা জরুরি।
৩. স্মার্টফোনের নিরাপত্তার জন্য ট্রু-কলার অ্যাপটি ইনস্টল করে নেওয়া ভালো। এটা ইন্সটল করার পর আপনি স্প্যাম ডিটেকশন চালু রাখতে পারবেন। এটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্প্যাম এড়িয়ে চলে। অ্যাপটি আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড দুটি অপশনেই ব্যবহার করা যায়।
৪. বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি বিষয় হলো ওয়াইফাই ব্যবহার। বাসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরিবহন, রেস্টুরেন্ট এখন ওয়াইফাইয়ের আওতাধীন। তবে আশঙ্কার কথা হলো- ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমেও গ্রাহকদের তথ্য চুরি হয়। তাই এ বিষয়ে একটু সতর্ক থাকতে হবে।