রাশিয়ান এক মন্ত্রীকে আটক করা হয়েছে ২০ লাখ ডলার ঘুষ নেয়ার অভিযোগে। ১৯৯১ সালের পর থেকে সরকারের এই পর্যায়ের কোনো নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত ও অভিযোগ দায়ের এই প্রথম। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১৫ বছর কারাভোগ করতে হবে উলিকায়েভকে। স্কাই নিউজের খবরে বলা হয়, রাশিয়ান সরকারের সমালোচক অর্থনৈতিক উন্নয়নমন্ত্রী অ্যালেক্সেই উলিকায়েভ উদারপন্থি হিসেবে পরিচিত। তাকে সোমবার রাতে আটক করে রাশিয়ার প্রধান নিরাপত্তা সংস্থা ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি)। উলিকায়েভের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ব্যাশনেফট নাম একটি তেল কোম্পানির শেয়ার কিনতে শীর্ষ রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি রসনেফটকে সহায়তা করেছিলেন। এর জন্য ঘুষ নিয়েছিলেন ২০ লাখ ডলার। সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটির মুখপাত্র সেতলানা পেত্রেংকো রাশিয়ান সংবাদ সংস্থা আরআইএ নোভোস্তিকে বলেন, ‘রসনেফট কোম্পানির মুখপাত্রকে হুমকি দিয়ে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ঘুষ নেয়ার সময় উলিকায়েভকে হাতে-নাতে ধরা হয়েছে।’ ওই পেত্রেংকা জানান, ব্যাশনেফটের এই অভিযোগ বিবেচনা করা হবে আইনিভিত্তিতে, অপরাধ তদন্তের বিষয় এটি নয়। ক্রেমলিনের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সকে বলেন, ‘এটা গুরুতর একটি অভিযোগ যার জন্য অত্যন্ত স্পষ্ট স্বাক্ষ্য-প্রমাণ প্রয়োজন। কেবল আদালতই এর সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’ রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন নিজেও ওই মন্ত্রীর গ্রেপ্তারের খবর জানতেন বলে খবরে প্রকাশ করা হয়েছে। রসনেফটের মুখপাত্র এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তিনি কেবল বলেছেন, তাদের কোম্পানি রাশিয়ান আইন মেনেই সবচেয়ে ভালো বাণিজ্যিক প্রস্তাবের ভিত্তিতে ব্যাশনেফটের শেয়ার কিনে নিয়েছিল। উলিকায়েভকে মঙ্গলবার আদালতে এক শুনানিতে অংশ নিতে হবে। সেখানেই তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার করা হতে পারে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হতে পারে।
ব্যাশনেফট কোম্পানির শেয়ার রসনেফট কিনে নেবে, শুরুতে এর বিরুদ্ধে ছিলেন উলিকায়েভ। তার যুক্তি ছিল, রাষ্ট্রায়ত্ত একটি কোম্পানির প্রাইভেট কোম্পানিতে সংশ্লিষ্টতা ঠিক নয়। অন্যদিকে, রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন নিজেই এই বেচাকেনার পক্ষে ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এটা কেবল সম্পদের হস্তান্তর নয়। কারণ, রসনেফটে বিদেশি বিনিয়োগ রয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত উলিকায়েভের বিরুদ্ধেই অভিযোগ এসেছে যে তিনি ঘুষ নিয়ে ব্যাশনেফটের ওই শেয়ার কিনতে সহায়তা করেছিলেন রসনেফটে। ৬০ বছর বয়সী উলিকায়েভ ২০১৩ সাল থেকে রাশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। উদারপন্থি হিসেবে পরিচিত এই নেতা রাশিয়ার অর্থনীতিতে সরকারের ক্রমবর্ধমান সংশ্লিষ্টতার বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থানের কথা জানিয়ে আসছেন।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | ||||||
2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 |
9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 |
16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 | 22 |
23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 | 29 |
30 | 31 |