খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেয়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে সহায়-সম্বলহীন পরিবারের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রিতে অনিয়মে সরকারদলীয় নেতাদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ পেলে তাদেরকেও ছাড় দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেয়া এ কর্মসূচিটি ইতিমধ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত হয়েছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিকে বিতর্কিত করতে দলীয় কিছু নেতাকর্মী, দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিলার ও কর্মকর্তারা অনিয়ম-দুর্নীতি করছে। নানা অনিয়মের অভিযোগে ইতিমধ্যে ৬২ জনের ডিলারশিপ বাতিল করা হয়েছে।
এই কর্মসূচিকে যাতে কেউ নষ্ট করতে না পারে তার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অনিয়মকারী যে দলের বা যত ক্ষমতাবানই হোক না কেন কোনো অবস্থাতেই এ কর্মসূচির অনিয়ম সহ্য করা হবে না। এ সময় মন্ত্রী মাঠে খাদ্যপণ্য উৎপাদন করা থেকে শুরু করে খাবার টেবিলে নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দিতে নানা কর্মসূচি অব্যাহত আছে বলে জানান।
গতকাল বুধবার দুপুরে সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ বাস্তবায়নে জনসচেতনতা শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি। বিভাগীয় কমিশনার রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. আবদুল ওয়াদুদ দারা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, নিরাপদ খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. মাহফুজুল হক ও জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিন।
সভায় সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, জেলা কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল হক চৌধুরী, নারীনেত্রী জেসমিন সুলতানা পারুলসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক। তার প্রচেষ্টায় ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগটি গ্রহণ করা সম্ভব হয়েছে। তাই এ কর্মসূচিতে কোনো ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি মেনে নেয়া হবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই দেশ পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। যে কারণে ইতিমধ্যে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পেরেছি। আগে বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানি করা হতো। অথচ বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের কয়েকটি দেশে প্রায় ২ লাখ মেট্রিকটন খাদ্য রপ্তানি করা হচ্ছে। বর্তমানে কৃষকরা স্বল্পমূল্যে সার পাচ্ছেন। সেচের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎও পাচ্ছেন তারা। এসবই এ সরকারের আমলেই সম্ভব হয়েছে।
কামরুল ইসলাম বলেন, খাদ্য উৎপাদন থেকে খাবার টেবিল পর্যন্ত নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যেই আজকের এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। নিরাপদ খাদ্য আইন সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। তাদেরকে সচেতন করতে আগামীতে উপজেলা এমনকি গ্রাম-গঞ্জেও নানা সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ ল্যাবরেটরি চালু করারও চিন্তা আছে।

Share Now
December 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031