নভেম্বরের মধ্যে বর্ধিত প্যাকেজ ভ্যাট না কমালে ডিসেম্বরে দোকানে তালা দিয়ে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলন করে এ পরিকল্পনার কথা জানান সমিতির বক্তারা।
সংগঠনটির সভাপতি এস এ কাদের কিরণ বলেন, প্যাকেজ ভ্যাটের সমস্যা নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে এফবিসিসিআই আলোচনা করছে। আমরা চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। এর মধ্যে দাবি মানা না হলে ডিসেম্বর মাসের শুরুতেই আমরা দোকানে তালা মেরে আন্দোলন করবো।
তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে কাঁচামালের দোকান মালিক সমিতিও আছে। দু’দিন দোকান ও কাঁচামালের বাজার বন্ধ রাখলেই কাজ হয়ে যাবে। রাস্তায় নেমে ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও করা লাগবে না।
মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্যাকেজ ভ্যাট দ্বিগুণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে ১৪ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৮ হাজার টাকা করা হয়েছে। একই ভাবে অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনে ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা, জেলা শহরে ৭ হাজার ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪ হাজার টাকা এবং উপজেলায় ৩ হাজার ৬০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে। যা আমাদের পক্ষে দেয়া সম্ভাব না। আমরা এ বছর ২০ শতাংশ পর্যন্ত বর্ধিত হারে প্যাকেজ ভ্যাট দিতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সব দোকানে ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্ট্রার (ইসিআর) বসানো সম্ভব না। তাই আমরা প্রস্তাব দিয়েছি প্রথমে বড় বড় দোকানগুলোয় ইসিআর বসানো হোক। পরবর্তীতে মাঝারি দোকানগুলোতে বসানোর উদ্যোগ নিতে হবে। এছাড়া তিনি সংগঠনের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হলো- এফবিসিসিআই’র প্রস্তাবনা অনুযায়ী আমাদের দাবি ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরের ভ্যাটের হার ২০ শতাংশ হারে বাড়িয়ে প্যাকেজ ভ্যাটের হার ১০ শতাংশ হারে পুনঃনির্ধারণ করতে হবে ও স্থানীয়ভাবে প্যাকেজ ভ্যাট, ভ্যাট আইন ২০১২-এ সংযোজন করতে হবে। সেইসঙ্গে নিম্ন আয়ের মানুষের প্রিয় হাতে তৈরি রুটি, বিস্কুট ও প্লাস্টিকের হাওয়াই চপ্পল ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখতে হবে। আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট ৪ শতাংশ পরিশোধের পর আমদানিকারকদের কাছ থেকে আর ভ্যাট আদায় করা যাবেনা।
সমিতির মহাসচিব মো. শাহ আলম খন্দকার সংবাদ সম্মেলনে দোকান মালিকদের পক্ষ থেকে তিনটি দাবি তুলে ধরেন। এর মধ্যে তৈরি রুটি, বিস্কুট ও প্লাস্টিকের হাওয়াই চপ্পল ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখতে হবে। বিগত অর্থবছরের ভ্যাট হারের সঙ্গে ২০ শতাংশ হারে বর্ধিত করে প্যাকেজ ভ্যাটের হার পুনঃনির্ধারিত করতে হবে এবং স্থায়ীভাবে প্যাকেজ ভ্যাট, ভ্যাট আইন ২০১২ তে সংযোজন করতে হবে।