জয় দিয়েই বিপিএল-এ যাত্রা শুরু করলো তারকা ভরপুর দল ঢাকা ডায়নামাইটস। বরিশালকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল।

যেই জয়ে মূল ভূমিকায় ছিলেন ওপেনার মেহেদী মারুফ।  ১৪৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই ছিলেন আগ্রাসী ভূমিকায়। বরিশালের বোলারদের পাত্তাই দেননি। ৪৫ বলে ৭৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। যেখানে ছিল দৃষ্টিনন্দন ৫টি চার ও ৫টি ছয়।

অপর দিকে শুরুতে তাকে সঙ্গ দেন কুমার সাঙ্গাকারা। যেই জুটিতে আসে ৮৮ রান। যদিও ৫.২ ওভারে পেরেরার ওভারে ক্যাচ উঠেছিল সাঙ্গার। কিন্তু সহজ সেই ক্যাচটি লুফে নিতে পারেননি আল আমিন হোসেন। ক্যাচটি নিতে পারলে মোমেন্টাম পরিবর্তন করতে পারতো বরিশাল!

সাঙ্গা ফিরলেও পরে সঙ্গ দেন সাকিব। ঢাকার অধিনায়ক অবশ্য দ্রুত ২০ রান করেই বোল্ড হন মনির হোসেনের বলে। শেষ দিকে ১৫.৬ ওভারে আল আমিনের বলে চার মেরেই জয় নিশ্চিত করেন মোসাদ্দেক।

এর আগে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও শাহরিয়ার নাফিসের অর্ধশতকে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ছয় উইকেটে ১৪৮ রান করে বরিশাল বুলস।  আর শেরে বাংলা স্টেঢিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের দ্বিতীয় এই খেলায় টস জিতে বল হাতে তুলে নিয়েছিল সাকিব আল হাসানের ঢাকা।

সূচনাটা ভালো ছিল না বরিশালের, ৬ রানে ওপেনার শামসুর রহমানের বিদায়ে শুরুতেই ধাক্কা খায় তারা। মো. শহীদের বলে স্লিপে তার ক্যাচটি লুফে নেন মেহেদী মারুফ। এরপর ঢাকা ডায়নামাইটসকে  উজ্জীবিত করার মতো একটি ক্যাচ নেন নাসির হোসেন। ডোয়াইন ব্রাভোর বলে স্কয়ার ড্রাইভ করেছিলেন দিলশান মুনাবিরা, বামদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাম হাতে বল তালুবন্দী করেন নাসির। ১৫ বলে ১২ রান ছিল শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানটির সংগ্রহ।

এরপর ইংরেজ ব্যাটসম্যান ডেভিড মালানের শুরুটা ছিল সাবলীল। তাকে সাজ ঘরের পথ ধরান সাকিব আল হাসান, মিডউইকেটের ওপর দিয়ে মারতে গিয়ে তিনি বল জমা দেন ডোয়াইন ব্রাভোর হাতে। মালানের ১৫ বলে ১৬ রানের ইনিংস শেষ হয় এখানেই।

দলের এমন বিপদে হাল ধরেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও শাহরিয়ার নাফিস। মুশফিক দেখেশুনে খেলতে থাকেন আর ঢাকার বোলারদের ওপর চড়াও হন নাফিস। চতুর্থ উইকেটে এই জুটিতে ৮২ রান করার পর মো. শহীদের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন নাফিস। হাঁটু গেড়ে মারতে গিয়ে তিনি বল টেনে আনেন উইকেটে। বিদায়ের সময় ৩৪ বলে ২টি ছয় ও সাতটি বাউন্ডারির মারে ৫৪ রান করেন সাবেক বাংলাদেশ ওপেনার।

তার বিদায়ের পরে দুই বিদেশি খেলোয়াড় শ্রীলঙ্কান থিসারা পেরেরা ও ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান রায়ান এমরিট ৩ ও ১ রানে বিদায় নিলে বড় সংগ্রহের আশা গুড়িয়ে যায় বরিশাল বুলসের। মুশফিকুর রহিম শেষ পর্যন্ত ৫০ রানে অপরাজিত ছিলেন, ইনিংসের শেষ বলে তিনি পূর্ণ করেন তার অর্ধশতক। ৩৬ বলে দুটি ছক্কা ও চারটি চারে অলঙ্কৃত ছিল তার ইনিংসটি।

Share Now
December 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031