আলো : প্রথম আলোর ১৮ বছর পূরণ হলো। একজন সচেতন পাঠক হিসেবে আপনার অনুভূতি জানতে চাই।

সুলতানা কামাল : আন্তরিক শুভেচ্ছা। ১৮ বছর ধরে একটি পত্রিকার জনপ্রিয়তা ধরে রাখা বেশ কষ্টসাধ্য। আমাদের দেশে নতুন নতুন পত্রিকা বের হচ্ছে। সব পত্রিকা জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারে না। প্রথম আলো পেরেছে। লক্ষণটা কীভাবে বুঝতে পারি? যখন আমরা একটি কাজ করি কিংবা বিবৃতি দেওয়ার পর দেখি প্রথম আলোতে আসেনি, তখন প্রশ্ন করি, কেন এল না। প্রথম আলোতে এলে অনেক বেশি মানুষের কাছে খবরটি যাবে। আমাদের বার্তাটি তাদের কাছে পৌঁছাবে। প্রথম আলো একটি মানসম্মত পত্রিকা, যেটি প্রতিদিন সকালে পড়ার আবশ্যকতা বোধ করি; কেবল একা নয়, পরিবারের সবাই মিলে।

প্রথম আলো : প্রথম আলোর দুর্বলতা কী?

সুলতানা কামাল : আমি প্রথম আলোকে খুব ভালো পত্রিকা বলে মনে করি। কখনো কখনো শিরোনাম দেখে পক্ষপাতের কথা মনে হয়। সেটি হতেই পারে, সেখানে দ্বিমত থাকতে পারে। যেকোনো গণমাধ্যম বা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের একটি দৃষ্টিভঙ্গি থাকে। ভালো লাগা না-লাগার বিষয় থাকে। প্রথম আলোর দুর্বলতার কথা যদি বলি, সব সময় নয়, মাঝেমধ্যে মনে হয়, গুরুত্বপূর্ণ খবরটি হয়তো ততটা গুরুত্ব পায়নি কিংবা শিরোনামে আসেনি। প্রথম আলো সংস্কৃতি ও বিনোদনকে আলাদা করে উপস্থাপন করে। আমি বলব, সংস্কৃতির পরিসরটা আরেকটু বাড়াক।

প্রথম আলো : পত্রিকা হিসেবে প্রথম আলো মন্দের ভালো, না ভালোর ভালো?

সুলতানা কামাল : আমি মন্দের ভালো বলব না। ভালো বলব। খবরে বৈচিত্র্য আছে। সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয়তে যেসব বিষয় নির্বাচন করা হয়, তাতেও বৈচিত্র্য আছে। নানা চিন্তার মানুষকে জায়গা দেওয়া হয়। তবে কখনো কখনো প্রথম আলো একটু বেশি নিরপেক্ষ থাকতে চায়।

প্রথম আলো : কিন্তু সবার মতামত প্রকাশ করা কি গণমাধ্যমের দায়িত্ব নয়?

সুলতানা কামাল : সেটি খবরে থাকবে।

প্রথম আলো : আমরা তো আপনার মতামতও ছাপি। তখন কেউ বলতে পারেন আমরা পক্ষপাতিত্ব করছি।

সুলতানা কামাল : হ্যাঁ, করতে পারেন। কিন্তু আমি মতামত কিসের ভিত্তিতে দিচ্ছি, সেটাও তো দেখতে হবে।

প্রথম আলো : পাঠক হিসেবে প্রথম আলোর কাছে আর কী প্রত্যাশা?

সুলতানা কামাল : প্রথম আলো গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সব সময়ই বলে। বলিষ্ঠভাবেই বলে। তবে অনেক সময় দেখি, আমরা যেসব বিষয়ে খুব উদ্বিগ্ন থাকি, সেসবের প্রতিফলন দেখি না। যেমন রামপালের ঘটনা।

প্রথম আলো : রামপাল নিয়ে আমরাই তো বেশি রিপোর্ট করেছি, লেখা ছেপেছি।

সুলতানা কামাল : তারপরও মনে হয় আরও কিছু করার ছিল।

প্রথম আলো : সার্বিকভাবে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ভূমিকা মূল্যায়ন করুন।

সুলতানা কামাল : আমি মনে করি, গণমাধ্যম খুব ভালো ভূমিকা পালন করছে। তাদের মাধ্যমেই আমরা কোথায় কী ঘটছে, জানতে পারছি। গণমাধ্যমের কর্মীরা অনেক ঝুঁকি নিয়েই এ কাজগুলো করছেন। যেখানে ঘটনা ঘটছে, তাঁরা ছুটে যাচ্ছেন। অনেক জায়গায় সাংবাদিকেরা হয়রানি-নির্যাতনেরও শিকার হচ্ছেন। তবে এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকেও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে, যেটি আমার দেশ-এ মাহমুদুর রহমান করেননি। সাম্প্রতিক কালে গণমাধ্যমে মালিকদের স্বার্থরক্ষায় কাজ করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এটি দুর্বলতা।

প্রথম আলো : প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার-এর জন্যও কি তা প্রযোজ্য?

সুলতানা কামাল : প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার-এ সেটি দেখা যায় না।

প্রথম আলো : মানবাধিকারকর্মী ও গণমাধ্যম দুই পক্ষই ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে? তাদের মধ্যে বোঝাপড়া কতটা আছে?

সুলতানা কামাল : গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের সম্পর্ক আগে থেকেই ঘনিষ্ঠ ছিল। সেই পাকিস্তান আমলে ইত্তেফাক ও সংবাদকে তো জনগণ তাদের মুখপত্র হিসেবে বিবেচনা করত। আর গণমাধ্যমকর্মীরা এক অর্থে মানবাধিকারকর্মীও। তাঁরা যখন অনিয়ম, অত্যাচারের কথা তুলে ধরেন, সেটা তো মানবাধিকারের পক্ষে যাচ্ছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধেও তাঁরা সোচ্চার।

প্রথম আলো : মানবাধিকারকর্মী হিসেবে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন কি?

সুলতানা কামাল : বাংলাদেশে একটি অদ্ভুত ব্যাপার চলছে। কেউ কেউ কাজ করতে পারেন। বাক্‌স্বাধীনতার ক্ষেত্রেও মনে হয় তেমন বাধা নেই। কিন্তু এখানেও এক নিয়ম চলে না। কাকে ধরবে, কাকে ধরবে না, অনেক সময় সেটি নির্ভর করে ব্যক্তির ওপর। ফলে অনেকে কাজ করতে পারেন, অনেকে পারেন না। অর্থাৎ, সবার জন্য বাক্স্বাধীনতা আছে, সেটা বলতে পারি না। বলা যায়, বাছাইকৃত স্বাধীনতা আছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, একই ব্যক্তি বিরোধী দলে থাকতে আমাদের তথ্য-উপাত্তকে স্বাগত জানান, আর ক্ষমতায় গেলে ক্ষুব্ধ হন।

প্রথম আলো : গত ১৮ বছরে প্রথম আলোর কোনো রিপোর্ট, ফিচার বা লেখা আপনাকে নাড়া দিয়েছে?

সুলতানা কামাল : বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির যেসব তথ্য প্রকাশ করছে, সেগুলো নাড়া দিয়েছে। বিশেষ করে, সরকারদলীয় মন্ত্রী-সাংসদদের দুর্নীতি। উদাহরণ হিসেবে হল-মার্ক কেলেঙ্কারি ও বিদেশি বন্ধুদের পদকের সোনা চুরির কথা বলতে পারি। ২০০১ সালে নির্বাচন-উত্তর সহিংসতা নিয়েও প্রথম আলো অনেক সাহসী রিপোর্ট করেছে।

প্রথম আলো : পূর্বাপর সব সরকার গণমাধ্যমকে ভয় পায় কেন?

সুলতানা কামাল : গণমাধ্যম সত্য প্রকাশ করে বলেই। গণমাধ্যম ক্ষমতাবানদের জনগণের কথা শুনতে বাধ্য করে। প্রধানমন্ত্রী আজ তাঁর দলের নেতা-কর্মীদের যে জনগণের কথা তাঁকে জানাতে বলছেন; সেই কাজটিই তো গণমাধ্যম সব সময় করছে। ইংরেজিতে একটি কথা আছে: স্পিক ট্রুথ টু দ্য পাওয়ার, অ্যান্ড মেক ট্রুথ পাওয়ারফুল।

প্রথম আলো : পত্রিকার তিনটি বিভাগ—রিপোর্ট, ফিচার ও মতামত। আপনাকে কোনটি বেশি আকর্ষণ করে?

সুলতানা কামাল : আমি খবরই খুঁজি। কেননা, আমি যে ক্ষেত্রে কাজ করি, সেখানে খবরটা বেশি জরুরি।

প্রথম আলো : বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্কার রিপোর্ট বলছে, বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অনেক বেশি সংকুচিত। অন্যদিকে সরকারের দাবি, বর্তমানে গণমাধ্যম সর্বোচ্চ স্বাধীনতা ভোগ করছে। এই বৈপরীত্য কীভাবে দেখছেন?

সুলতানা কামাল : বৈপরীত্য তো আছে। অনেক পত্রিকা বের হচ্ছে। অনেক টিভি চ্যানেল খুলে দেওয়া হচ্ছে। যদি সরকারের প্রত্যাশা থাকে সেগুলো তাদের কথা লিখবে বা বলবে, তাহলে তো স্বাধীনতা দেওয়া হলো না। যখন সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে ধমক-ধামক আসতে থাকে, তখন ঝুঁকিটি আরও বেড়ে যায়। যেমন ধরুন, সমাজে সব নারীই স্বামীর হাতে মার খায় না। কিন্তু যদি ভেতরে মার খাওয়ার ভয়টা থাকে, তখন কিন্তু হিসাব-নিকাশ করে চলবে। গণমাধ্যমের ক্ষেত্রেও তেমনটি ঘটছে বলে ধারণা করি। অর্থাৎ, বাস্তব নির্যাতনের থেকে নির্যাতনের আতঙ্কটা ভয়ের সংস্কৃতি গড়ে তোলে।

প্রথম আলো : যখন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে কোনো গণমাধ্যমের প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেওয়া হয়, তখন কী বার্তা আসে?

সুলতানা কামাল : এটি তো অ্যাবসার্ড ব্যাপার। হতে পারে না। এই পর্যায়ে বিদ্বেষ দেখানো হলে অন্যদের কাছেও বার্তা চলে যায় যে তারা ওই গণমাধ্যমের মতো হলে তাদেরও বিপদে পড়তে হবে।

প্রথম আলো : আমাদের নাগরিক সমাজ এদলে-ওদলে ভাগ হয়ে গেছে বলে অভিযোগ আছে।

সুলতানা কামাল : কোন দেশে নাগরিক সমাজ বিভক্ত নয়? সমাজে বিভক্তি স্বাভাবিক। আমাদের উদ্বেগ হলো দলীয় মতের ঊর্ধ্বে উঠে যে বাস্তবকে দেখবে, সেই ধরনের লোকের সংখ্যা কমে গেছে। নাগরিক সমাজের সামনে অনেক বাধা আছে। সমাজে এখন একজন ব্যক্তি অন্যায়-দুর্নীতি না করলেও ভাবতে পারছেন না তিনি নিরাপদ। এটাই ভয়ের কারণ।

প্রথম আলো : সম্প্রতি বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন আইন নিয়ে বেসরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে।

সুলতানা কামাল : উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। এই আইনের ১৪ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কেউ বিদ্বেষমূলক ও অশালীন বক্তব্য দিলে তার নিবন্ধন বাতিল হবে। প্রথমত, কোনটি অশালীন ও বিদ্বেষমূলক, সেটি কে নির্ধারণ করবেন? দ্বিতীয়ত, আমি যদি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কিংবা সংসদের কার্যকারিতা নিয়ে কোনো মন্তব্য করি, তখনো তো সরকার সেটিকে বিদ্বেষমূলক ভাবতে পারে। এটি এনজিওগুলোর ওপর সরাসরি হুমকি।

প্রথম আলো : তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা কি মতপ্রকাশ তথা গণমাধ্যমের ওপর আঘাত নয়?

সুলতানা কামাল : তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারাও তা–ই। আমরা এ আইনের নানা অপব্যবহার দেখছি। কেউ কোনো মন্তব্য করলেই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে, শাস্তি হচ্ছে। আবার যে ক্ষেত্রে এর ব্যবহার প্রয়োজন, সেখানে অনুপস্থিতি লক্ষ করছি। এই যে নাসিরনগরে এক যুবকের ফেসবুকে কে ধর্ম অবমাননামূলক পোস্ট করল, সেটি কিন্তু আইন খুঁজে বের করতে পারছে না। এর আগে রামুতেও একই ঘটনা ঘটেছে। আমরা বারবার বলেছি, এই ৫৭ ধারা মানুষের বাক্স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বিরাট বাধা।

প্রথম আলো : গণমাধ্যমের কাছে নাগরিক সমাজ অনেক কিছু আশা করে। কিন্তু সেই গণমাধ্যম বিপদে পড়লে তারা কী করে?

সুলতানা কামাল : এখন পর্যন্ত যেসব ঘটনা ঘটেছে, তাতে ব্যক্তিগতভাবে কেউ কেউ পাশে থাকলেও সুসংগঠিতভাবে প্রতিবাদের উদাহরণ নেই। এর অর্থ হলো, মানুষের মধ্যে একটি ভয় কাজ করে যে আক্রান্তের পক্ষে কথা বললে তাঁর ওপরও আঘাত আসতে পারে।

প্রথম আলো : তাহলে কি ভয়ের পরিবেশ বিরাজ করছে?

সুলতানা কামাল : আমি বলব, আমরা ভয়ের পরিবেশেই আছি। আমি বলব না যে প্রতিদিনই মানুষ গ্রেপ্তার হচ্ছে বা হয়রানির শিকার হচ্ছে। কিন্তু সে হয়রানির শিকার হতে পারে, এই ভাবনা তাদের মধ্যে কাজ করে। আমরা ভয়ের সংস্কৃতি থেকে বের হতে পারছি না।

প্রথম আলো : এই ভয়কে জয় করা যাবে কীভাবে?

সুলতানা কামাল : জনগণ তথা নাগরিক সমাজকে আরও শক্তি সঞ্চয় করতে জবে। কিন্তু সমস্যা হলো, সমাজে অনেকেই কোথাও না কোথাও স্বার্থের কাছে বাধা পড়ে আছে। সেই স্বার্থের বাধা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আবার কেউ কেউ ক্ষমতাধরদের ব্যক্তিগত রোষের শিকার হচ্ছেন, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

প্রথম আলো : গণতান্ত্রিক সমাজে সরকারের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিই জোরালো ভূমিকা রেখে থাকে। কিন্তু আমাদের বিরোধী দল সেটি পারছে কি?

সুলতানা কামাল : মোটেই পারছে না। তারাও ব্যক্তিগত ও পারিবারিক স্বার্থের কাছে বাঁধা পড়ে আছে। খালেদা জিয়াকে কিছু বললে বিএনপি প্রতিবাদ করে, তারেক জিয়াকে কিছু বললে প্রতিবাদ করে। জনগণের স্বার্থ নিয়ে তারা তেমন সোচ্চার নয়। বিরোধী দল জনগণের স্বার্থ নিয়ে কথা বলছে না। তারা ব্যক্তি ও পারিবারিক স্বার্থ নিয়েই কথা বলছে। এ কারণেই সাধারণ মানুষকে কাছে টানতে পারছে না।

প্রথম আলো : প্রথম আলোর ভবিষ্যৎ পথচলা সম্পর্কে বলুন।

সুলতানা কামাল : মানবাধিকারকর্মীদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ও সবচেয়ে শক্তিশালী সহচর হচ্ছে গণমাধ্যম। এ কারণেই আমি চাইব, গণমাধ্যম মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে যেকোনো ঘটনায় যাতে তারা অনেক বেশি শক্তি ও সাহস নিয়ে কাজ করতে পারে, সে জন্য তাদের পাশে দাঁড়াবে। সে জন্য জনগণকেও সচেতন হতে হবে এবং যেসব গণমাধ্যম এই কাজগুলো করছে, তাদের প্রতি খোলাখুলি সমর্থন জানাতে হবে।

প্রথম আলো : কিন্তু দেশে সেই গণতান্ত্রিক পরিসর কতটা আছে?

সুলতানা কামাল : এটা তো আমাদের মেনে নিতে হবে যে যত দিন পর্যন্ত আমরা একটি মানসম্পন্ন গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থা তৈরি করতে না পারব, তত দিন পর্যন্ত এ ধরনের হুমকি থেকেই যাবে। সে ক্ষেত্রে প্রথম আলো অনেক সাহসী ভূমিকা রেখেছে এবং ভবিষ্যতেও তার ভূমিকা সমুন্নত রাখবে, আশা করি। একজন মানবাধিকারকর্মী হিসেবে বলব, আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু সহযোগিতা দরকার, সেটিও প্রথম আলো আদায় করে নিতে পারবে।

প্রথম আলো : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

সুলতানা কামাল : আপনাকেও ধন্যবাদ।

Share Now
December 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031