ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার এই দাবিকে ডাহা মিথ্যা বলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।বিকালে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।নয়াপল্টনে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে বিএনপির কাছ থেকে অনুমতি পাওয়া যায়নি-
রিজভী বলেন, ‘আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি না পাওয়ায় নয়াপল্টনে সমাবেশ করার জন্য পুলিশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছি। কিন্তু পুলিশ আবেদনের বিষয়টি অস্বীকার করে মিথ্যাবাদীর পরিচয় দিয়েছে।’
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সেনাবাহিনীতে নানা ঘটনাপ্রবাহের পর ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। সেদিন সেনাবাহিনীর জওয়ানরা কয়েকশ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এই দিনটিকে বিএনপি জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে এবং ৭ নভেম্বর দিবসটিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের ডাক দেয়।
কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই দিনটিকে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস হিসেবে পালন করে এবং কাউকে বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করতে না দেয়ার ঘোষণা দেয়। এরপর পুলিশ ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কাউকেই সমাবেশ করতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত জানায়।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান না পেয়ে ৮ নভেম্বর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশের সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে আবেদনও করে দলটি। কিন্তু পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, তিনি কোনো আবেদন পাননি।
ডিএমপি কমিশনার সত্য কথা বলেননি দাবি করে বিএনপি নেতা রিজভী পুলিশের কাছে দেয়া লিখিত আবেদনের কপি সাংবাদিকদের দেখান। বলেন, ‘আমরা নিয়ম মেনে আবেদন করেছি। তাদের (পুলিশের) বক্তব্য সত্য নয়।’
রিজভী বলেন, ‘সরকার জনগণের কাছে মিথ্যাবাদী প্রমাণিত হলে ভাবমূর্তি কোথায় থাকে? তাদের প্রবণতা দস্যুভিত্তির মতো।’ তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছি। কিন্তু এ বছরই প্রথম বাধা দিচ্ছে সরকার। বলা হচ্ছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অন্যান্য রাজনৈতিক দল ওই দিন সমাবেশ করতে চায়। অথচ তারা কারা তা আমাদেরকে জানানো হয়নি।’
সমাবেশের অনুমতি না পেলে বিএনপি নয়াপল্টনের সমাবেশ থেকেও পিছিয়ে আসবে কি না জানতে চাইলে রিজভী বলেন, ‘সে ক্ষেত্রে শীর্ষ নেতারা আলোচনা করে কর্মসূচি ঘোষণা দেবেন।’