বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি না পেলে অন্য কোথাও ৭ নভেম্বর বিএনপি সমাবেশ করবে বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি না পেলেও সরকারের কাছে বিকল্প স্থানে সমাবেশ করার জন্য অনুমতি চাওয়া হবে।
শুক্রবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নব নির্বাচিত কমিটির নেতাদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ফখরুল।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের ঘটনাপ্রবাহ স্মরণে আগামী ৭ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। তখন আওয়ামী লীগ নেতারা ওই দিনটিতে সমাবেশ প্রতিহত করার হুমকি দেয়। বিএনপি একে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করলেও আওয়ামী লীগ দিনটিকে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস হিসেবে পালন করে।
দুই প্রধান দলের মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে ৭ বা ৮ নভেম্বর কাউকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘৭ নভেম্বর উপলক্ষে সমাবেশের জন্য সারা দেশে স্থান চাওয়া হয়েছে সরকারের কাছে। প্রয়োজনে আবারও অনুমতি চাওয়া হবে। সরকার যদি অনুমতি না দেয় তবুও সমাবেশ করা হবে।’
বিএনপি সরকারের আমলে রাষ্ট্রীয়ভাবে দিবসটি পালন করার বিষয়টি উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘আগে দিবসটি রাষ্ট্রীয় ভাবে পালন করা হতো, কিন্তু এখন সরকার বাধা দিচ্ছে। গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকলে তারা এমনটি করতো না।’
বিশেষ মহলের ইন্ধনে নাসিরনগরে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘নাসিরনগরের সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা প্রশাসনকে উদাসীন দেখা যাচ্ছে। ঘটনার পরপরই যদি প্রশাসন ব্যবস্থা নিতো তবে এমন কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না।’ একটি বিশেষ মহলের ইন্ধনে এই ঘটনা ঘটছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি নেতা।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারন সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।