আবদুর রহমান বদিকে অব্যাহতি দেয়ার আদেশের বিরুদ্ধে দুদককে আপিলের পরামর্শ দেয়া হয়েছে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে কক্সবাজার-৪ (উত্থিয়া-টেকনাফ) আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ।মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণ ও রায় পর্যালোচনা করে এ আপিলের পরামর্শ দেয়া হয়। দুদক বলছে, বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখবে।আজ বৃহস্পতিবার সকালে ইত্তেফাককে এ তথ্য জানান দুদক কৌশলী খুরশীদ আলম খান।
সম্পদের তথ্য গোপনের দায়ে সংসদ সদস্য বদিকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত -৩। তবে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক কৌশলী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘আমি দুদকের মহাপরিচালক মো. মঈদুল ইসলামকে খালাসের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের পরামর্শ দিয়েছি। আমি বলেছি, মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণ ও রায় খতিয়ে দেখে আপিলের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। তিনি আমাকে বলেছেন, দুদক বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।’প্রসঙ্গ, খুরশিদ আলম খান উচ্চ আদালতে দুদকের পক্ষে মামলা পরিচালনার গুরুত্বপূর্ণ কৌশলী হিসেবে নিয়োজিত।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং তথ্য গোপনের অভিযোগে এমপি বদির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট নগরীর রমনা থানায় মামলা দায়ের করে। তদন্ত শেষে গত বছরের ৭ মে তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এতে বলা হয়, সার্বিক তদন্তে আবদুর রহমান বদি তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকা মূল্যমানের সম্পদ গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। এছাড়া ২০০৮ ও ২০১৩ সালে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণী পর্যালোচনায় দেখা গেছে তার সম্পদের পরিমাণ ৩৫১ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই মামলায় ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন বদি। ঐদিন জামিন না দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরে তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছাড়া পান।