বিএনপি আগামী ৭ই নভেম্বর ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যে সমাবেশ কর্মসূচি দিয়েছে সেখানে সরকার বাধা দেবে না বলে আশা প্রকাশ করেছে। গতকাল দুপুরে বিএনপি’র নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত
এক যৌথসভা শেষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ আশা প্রকাশ করেন। ৭ই নভেম্বর সমাবেশ সফল করতে ঢাকা ও আশপাশের জেলা নেতাদের সঙ্গে এ যৌথসভা করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, আমরা ঢাকায় সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করবো। ইতিমধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। সরকারের পক্ষ থেকে এখনও নেগেটিভ কিছু বলা হয়নি। আমরা আশা রাখছি, অনুমতি পাবো। আমরা আশাবাদী, সরকার এটাতে পজিটিভ রেসপন্স করবে। সমপ্রতি ২০তম জাতীয় সম্মেলনে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র নিয়ে যে কথাগুলো বলেছে সেটা প্রমাণের জন্য হলেও তারা বিএনপি’র রাজনৈতিক অধিকার হিসেবে সমাবেশ করতে দেবে। আমরা যেন গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারি, সেই সুযোগ তারা সৃষ্টি করে দেবেন। মির্জা আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতিমধ্যে সমাবেশকে সামনে রেখে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে। আমরা আগেই বলেছি, গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না বলেই এই ধরনের সমস্যাগুলো হয়। একটা সমাবেশ করা হবে, তার জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমি আশা করি, তারা এ থেকে সরে আসবে। এটা আমরা সবাই চাই। সেটা যদি করা যায়, তা বাংলাদেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে। সমাবেশ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, কয়েকজন নেতার ভাষা স্বৈরাচারী। একদলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে তারা রাজনীতি করছেন। আমরা বার বার বলেছি, আমরা সংঘাতের রাজনীতি চাই না। আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে চাই। এ সময় তিনি ৭ই নভেম্বরের আগে মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তি দাবি করেন। বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, যশোরের মনিরামপুরের শ্রমিক দলের নেতা আনিসুর রহমানকে গত সোমবার সাদা পোশাকধারী সদস্যরা গ্রেপ্তার করে। বুধবার তাকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়। এ সময় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও মহানগর আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, আবদুল মান্নান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ, ঢাকা জেলা বিএনপি’র নেতা দেওয়ান সালাউদ্দিন, খন্দকার আবু আশফাক, গাজীপুরের ফজলুল হক মিলন, সাইয়েদুল আলম বাবুল, টাঙ্গাইলের গৌতম চক্রবর্তী, শাসসুল আলম তোফা, নারায়ণগঞ্জের তৈমূর আলম খন্দকার, মানিকগঞ্জের মাইনুল ইসলাম শান্ত, জিয়াউর রহমান খান, মুন্সীগঞ্জের আবদুল হাই, আলী আজগর রিপন মল্লিক, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল, মনির খান, নিপুণ রায় চৌধুরী, এমএ কবির জিন্নাহ্ উপস্থিত ছিলেন।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | 4 | 5 | ||
6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12 |
13 | 14 | 15 | 16 | 17 | 18 | 19 |
20 | 21 | 22 | 23 | 24 | 25 | 26 |
27 | 28 | 29 | 30 | 31 |