চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌর সদরের আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল ইসলামকে কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার ভোরে পৌর সদরের গোডাউন রোডের বাসার কাছে মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা তাঁকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। প্রথমে তাঁকে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
আহত মনিরুল ইসলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন।
আহত মনিরুলের ভাইয়ের ছেলে দিদারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আজ ভোরে তাঁর চাচা বাসা থেকে বের হয়ে রেলস্টেশন মসজিদে ফজরের নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন। এ সময় কয়েকজন মুখোশধারী পেছন থেকে ‘মনির ভাই’ বলে ডাক দেয়। পেছনে ফিরতেই মনিরুল দেখেন মুখোশধারীরা কিরিচ দিয়ে কোপ দিতে উদ্যত হচ্ছে। সরে যাওয়ার চেষ্টা করেও পারেননি। তাঁর মাথায় ও ডান হাতে কোপ লাগে। তাঁর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে মুখোশধারীরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় কারা জড়িত থাকতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে দিদারুল ইসলাম বলেন, সীতাকুণ্ডে আওয়ামী লীগ দুই ভাগে বিভক্ত। একটি উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুনের পক্ষে ও অন্যটি সাংসদ দিদারুল আলমের পক্ষে কাজ করে। মনিরুল ইসলাম উপজেলা চেয়ারম্যানের পক্ষে কাজ করতেন। এ জন্য প্রতিপক্ষের লোকজন বিভিন্ন সময়ে হুমকিও দিয়েছেন মনিরুলকে। সাংসদের পক্ষের লোকজন এ হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেন দিদারুল ইসলাম।
সাংসদপন্থী হিসেবে পরিচিত রায়হান উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল ইসলাম দলের সবার কাছে সমানভাবে গ্রহণযোগ্য। তাঁর প্রতি কারও ক্ষোভ থাকার কথা নয়। তা ছাড়া আমরা দলের কাউকে প্রতিপক্ষ ভাবি না। মতবিরোধ থাকলে হামলা চালিয়ে নয়, আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সঠিক তদন্ত হলে ভেতরের কাহিনি বের হয়ে আসবে। বেফাঁস মন্তব্য করে কেউ যেন তদন্ত বাধাগ্রস্ত না করেন।’
সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক মো. সাইফুল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মনিরুল ইসলাম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের ৬২ নম্বর বেডে ভর্তি রয়েছেন। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ বিকেলে সীতাকুণ্ড সদর এলাকায় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।