আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা জাতীয় সম্মেলনের পর প্রথম বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন । সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এই বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন নেতারা।
এই বৈঠকে মূলত দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ফাঁকা পদে নিয়োগ নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। ফলে কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা পেতে আগ্রহী নেতারা এই বৈঠকের দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছেন। বিশেষ করে কার্যনির্বাহী পর্ষদের সদস্য হিসেবে যাদের নাম আলোচনায় আছে, তারা সবচেয়ে বেশি আগ্রহী এই বৈঠক নিয়ে।
আগ্রহী নেতাদের একজন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘একটু খোঁজ খবর রাখেন। আমার নামটা আসে কি না- টেনশনে আছি। কিছু জানতে পারলে জানিয়েন।’
জানতে চাইলে সভাপতিমণ্ডলীর নতুন সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এই বৈঠকে আমদের সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি এই ধরনের বৈঠকে সব সময়ই রাজনৈতিক কিছু বিষয় উঠে আসে।’
গত ২২ থেকে ২৩ অক্টোবর ক্ষমতাসীন দলের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের পর পর সভাপতিমণ্ডলীর ১৯ সদস্যের মধ্যে ১৪ সদস্যের নাম ঘোষণা করেন সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের পদাধিকার বলেই এই ফোরামের সদস্য। বাকি তিন জনের নাম এখনও ঘোষণার বাকি আছে।
আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, আজকের বৈঠকে দলের কার্যনির্বাহী পর্ষদের ২৮ পদে কারা আসছেন-সে বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারে। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কার্যনির্বাহী সদস্যদের নাম দলের সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠকেই অনুমোদন হয়। এ ছাড়া সম্পাদকমণ্ডলীর সাতটি পদের বিষয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। পাশাপাশি সভাপতিমণ্ডলীতে একজন বা দুই জনের নিয়োগের বিষয়েও কথা হতে পারে। তবে আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, এই ফোরামে ১৯ জন সদস্য থাকলেও সবগুলোই এখনই পূরণ নাও হতে পারে। এর আগে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের এই পর্ষদে প্রায় সময়ই এক বা একাধিক পদ খালি ছিল।
জাতীয় সম্মেলনে দুই দিন পর গত ২৫ অক্টোবর দলের সম্পাদকমণ্ডলীর ২৯ জনের মধ্যে ২২ জনের নাম ঘোষণা করেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এই জাতীয় সম্মেলনেই দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আকার ৭৩ থেকে বাড়িয়ে ৮১ করা হয়। এর মধ্যে সভাপতিমণ্ডলীর ১৬ আর সম্পাদকমণ্ডলীর ২২ জন ছাড়াও মোট ৪৩টি নাম ঘোষণা হয়েছে। বাকি নাম আগামী দুই এক দিনের মধ্যেই ঘোষণার কথা জানিয়েছেন দলের নতুন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।