স্টুয়ার্ট ব্রড চতুর্থ দিন শেষে তো বলেই গিয়েছিলেন, রাতে ঘুম হবে না তার। হারের শঙ্কা উঁকি দিচ্ছিল ইংলিশ খেলোয়াড়দের মনেও। জনি বেয়ারস্টো অবশ্য ঘুমিয়েই পড়েছিলেন আগেভাগে। সেটা অবশ্য মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকার জন্য নয়, ইংলিশ উইকেটরক্ষক সারা দিনের ধকলে এতটাই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন যে বিছানায় গা রাখা মাত্র ঘুমের রাজ্যে! কথাগুলো জানা গেছে ব্রিটিশ দৈনিক ‘ডেইল মেইল’-এ বেয়ারস্টোর লেখা কলাম থেকে। যেখানে চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাওয়া ২২ রানের জয়কে তিনি তুলানায় দাঁড় করিয়েছেন ২০১৩ সালের অ্যাশেজ জয়ের সঙ্গে।
বেন স্টোকসের দুটো বলেই সর্বনাশ বাংলাদেশের। আশা জাগিয়েও তাই পঞ্চম দিনের সকালেই স্বপ্নভঙ্গ হয় বাংলাদেশের। ম্যাচটিকে ব্রড আগেই জায়গা দিয়েছেন তার খেলা সেরা পাঁচ টেস্টের তালিকায়। এবার বেয়ারস্টো এই জয়কে তুলনা করলেন অ্যাশেজের সঙ্গে। ২০১৩ সালের অ্যাশেজে ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্টে রোমাঞ্চকর ১৪ রানের জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওই জয়টা বেয়ারস্টো টেনে এনেছেন চট্টগ্রাম টেস্টে, ‘চট্টগ্রামের এই জয়টা আমাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। আমার কাছে এই জয় ২০১৩ সালের অ্যাশেজের ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্টের জয়ের সমান, যেখানে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাস্টন অ্যাগার ১১ নম্বরে নেমে ৯৮ রানের ইনিংস খেলেছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা আমরা জিতে নিয়েছিলাম ১৪ রানে।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যর্থ হয়েছেন ইংল্যান্ডের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। বেয়ারস্টো লিখেছেন এই বিষয় নিয়েও, ‘বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়াইটা ছিল অসাধারণ, যা এমনকি আমরা দুই ইনিংসের শুরুতে তিন উইকেট হারিয়ে ফেরার পরও। এই জয়ের মাধ্যমে প্রমাণ করেছি, আমরা যে কোনও পরিস্থিতিতে মোকাবিলা করার ক্ষমতা রাখি।’ তার লেখার উঠে এসেছে চতুর্থ দিন শেষ করে কাটানো রাতের কথাও। হার-জিতের মাঝামাঝিতে থাকা ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা ওই রাতে ঘুমাতে পারেননি বলে খবর ছিল সংবাদমাধ্যমের। যদিও অন্য কারও কথা না বললেও বেয়ারস্টো নিজের সম্পর্কে জানিয়েছেন, ‘শেষ দিনের আগে নির্ঘুম রাত কাটানোর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে অনেক। যদিও আমি বিকাল থেকেই প্রচন্ড ক্লান্ত ছিলাম, তাই ৯-১৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) বিছানায় গিয়েই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।’
বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও লিখেছেন বেয়ারস্টো। ইংল্যান্ডের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নিজেদের সন্তুষ্টির কথা শুনিয়েছেন আগেই। ইংলিশ উইকেটরক্ষকও প্রশংসায় ভাসালেন বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে, ‘এখন পর্যন্ত সফরটা দারুণ। চট্টগ্রামে আমাদের হোটেলটা ছিল অসাধারণ, আর নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্দান্ত। এই বিষয়গুলো আমাদের সব কিছু থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করেছে এবং শুধু খেলার ওপর আমাদের সম্পূর্ন মনোযোগ রাখার পথে রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।’