পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ২১ অক্টোবর নি¤œচাপ ‘ঘুর্ণিঝড় কায়ান্ট’ হিসেবে রূপ নিয়ে বাংলাদেশের উপকুলীয় অঞ্চলে আঘাত হানার আশংকা করেছে আবহাওয়াবিদ। একই সাথে চট্টগ্রাম,কক্সবাজার,মংলা,পায়রা সমুদ্র বন্দরে ২ নাম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার(২৫অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে নি¤œচাপটি ঘূর্র্ণিঝড় কায়ান্টে রূপ নিয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম।
পূবার্ভাস কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম সিটিজি নিউজকে জানান,গত ২১ অক্টোবর ভারতের উড়িষ্যা অঙ্গরাজ্যের পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃৃষ্টি হওয়া নি¤œ চাপটি সামান্য উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভুত হয়ে মঙ্গলবার সকাল ৯ টার দিকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিনত হয়েছে।এর নামকরন করা হয়েছে ’কায়ান্ট’ ।
ঘূর্ণিঝড় ‘কায়ান্ট’ চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে,কক্সবাজার সমুদ্র থেকে ৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণ -পূর্বে,মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে। ঘুর্ণিঝড় কায়ান্ট আরো উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে জানান পূর্বাভাস কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম।
তিনি আরো জানান,ঘূর্ণিঝড় ‘কায়ান্ট’ ৫৪ কিলোমিটার বেগে বাতাসে একটানা সর্বোচ্চ ৬২ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগে ধমকা ও ঝড়ো হাওয়ার আকার ধারণ করতে পারে,যা ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
পূর্বাভাস কর্মকর্তা আরো জানান,চট্টগ্রাম,কক্সবাজার,মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর সমুহকে ১ নাম্বার সর্তকতা সংকেত নামিয়ে তাদেরকে ২নাম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্র্যন্ত সমুদ্র উপকূলীয় সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকুলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচলের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে বলেও জানান মাজহারুল ইসলাম।