আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের আবারও তাগিদ দিয়েছেন । তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আর বেশিদিন বাকি নেই। মাত্র দুই বছর তিন মাস। তিন মাস আগেই নির্বাচনি প্রক্রিয়া শুরু হবে। পুরো সময়টা কাজে লাগাতে হবে।’ সোমবার গণভবনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অষ্টম বারের মতো নির্বাচিত দলের সভাপতি শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানাতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণের জন্য কী কী কাজ করলাম, তা তাদের জানাতে হবে। তাদের বলতে হবে, আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে আপনারা আরও পাবেন। সেবার মনোভাব নিয়ে জনগণের কাছে যেতে হবে।’
সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় নতুন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ নির্বাচিত অন্য কেন্দ্রীয় নেতারাও ছিলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের জন্য যেসব উন্নয়নমূলক কাজ করেছে, তার প্রচারের জন্যও নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এ কথাগুলো এখন থেকে না বললে কিভাবে মানুষ জানবে। বিষয়টা এমন না যে, তফসিল ঘোষণা করলে আমরা কাজ শুরু করব। এখন থেকে বলে বলে মানুষের হৃদয়াঙ্গম করাতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমানে একটা উত্তাপ শুরু হয়েছে। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ। এগুলো বিএনপি-জামায়াতের সৃষ্টি। তারা মদদ দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী জঙ্গিবাদ বিরাট সমস্যা। এই সমস্যার সমাধান নিজেদের করতে হবে। এ জন্য কারও মুখাপেক্ষি থাকলে চলবে না।’
সংগঠনকে আরও সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করার তাগিত দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘এ জন্য সবাইকে যার-যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। আমাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলো যদিও দৃশ্যমান, তবু জনগণকে মনে করিয়ে দিতে হবে, বলতে হবে। বোঝাতে হবে।’
গৃহহীন ও নিঃস্বদের তালিকা করার জন্য দলীয় নেতাদের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা সবাই নিজ-নিজ এলাকার নিঃস্ব মানুষদের তালিকা করবেন। আমরা সবাইকে ঘর করে দেব। একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না।’ তিনি বলেন, ‘দারিদ্রের হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনব। একজন মানুষও দরিদ্র থাকবে না। মানুষকে দারিদ্র্যমুক্ত করব। এটাই আমাদের সরকারের লক্ষ্য।’