হিলারি ক্লিনটনের ব্রুকলিনের নির্বাচনী প্রচারণা বিষয়ক প্রধান কার্যালয় একটি খামের ভিতর সাদা কিছু (হোয়াইট সাবসটেন্স) পাওয়া যাওয়ার পর খালি করে ফেলা হয়েছে । দু’জন ইন্টার্ন প্রথম ওই কার্যালয়ের ভিতর ওই হোয়াইট সাবসটেন্স দেখতে পান। স্থানীয় পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগের এক মুখপাত্র বলেছেন, শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকাল ৫টার দিকে ম্যানহাটানের ব্রুকলিনে ওই অফিসের ভিতর দু’জন ইন্টার্ন ওই জিনিসটি দেখতে পান। এ বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ১১তলায় অবস্থিত ওই প্রধান কার্যালয়টি খালি করে ফেলা হয়েছে। তবে এতে কোনো মানুষ আহত বা অসুস্থ হয় নি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ ওই হোয়াইট সাবসটেন্স নিয়ে পরীক্ষা করছিল। ঘটনার সময় নিউ ইয়র্কে ছিলেন না হিলারি। তিনি তখন ওহাইও রাজ্যের ক্লিভল্যান্ডে একটি কমিউনিটি কলেজে প্রচারণার কাছে ব্যস্ত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পের নর্থ ক্যারোলাইনার একটি অফিস আগুনে পুড়ে যায়। কে বা কারা এ অগ্নিকাণ্ডের সূচনা করে তা স্পষ্ট নয়। তবে এ জন্য হিলারি ক্লিনটনের সমর্থকদের দায়ী করেছেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাসে এটা নতুন। এর আগে এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে বলে শোনা যায় নি। নতুন এক জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, ব্যাটলগ্রাউন্ড বলে পরিচিত রাজ্যগুলোতে হিলারি ও ট্রাম্প খুব কাছাকাছি অবস্থান করছেন। এর অর্থ হলো সব সুইং স্টেট বা দোদুল্যমান রাজ্যে হিলারির বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবতা বেড়ে গেছে। ইন্ডিপেন্ডেন্ট লিখেছে, আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পকে আমেরিকার গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হিসেবে বর্ণনা করেছেন হিলারি। কারণ, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলের প্রতি তার শ্রদ্ধা বা ফল মেনে না নেয়ার কথা দৃঢ়তার সঙ্গে প্রকাশ করেছেন। এসব ঘোষণার পর হিলারির অফিসে ওই হোয়াইট সাবসটেন্স পাওয়া গেল। হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, তিনি যেসব দেশ সফর করেছেন সেখনকার রাজনৈতিক নেতারা তাদের বিরোধী রাজনীতিককে জেলে ঢুকিয়েছেন এবং যে নির্বাচনে তারা বিজয়ী হতে পারেন নি সেই নির্বাচনের ফল মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের সময় বিজয়ী হলে হিলারিকে জেলে নেয়ার হুমকি দেন ট্রাম্প। এর জবাবে হিলারি বলেছেন, নেতৃত্ব ও একনায়কের ব্যবধান যুক্তরাষ্ট্র জানে বলে আমি মনে করি। ইন্ডিপেন্ডেন্ট লিখেছে, যদি নির্বাচনে ট্রাম্প পরাজিত হন এবং তিনি ফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান তাহলে যথাসময়ে দায়িত্ব বুঝে নেয়ার ক্ষেত্রে হিলারির জন্য ভীষণ জটিল হয়ে উঠতে পারে। ওদিকে পেনসিলভ্যানিয়ার গেটিসবার্গে শনিবার ‘ক্লোজিং আরগুমেন্ট’ বা চূড়ান্ত রূপরেখা ঘোষণা করার কথা রয়েছে ব্যবসায়ী কাম রাজনীতিক ডনাল্ড ট্রাম্পের।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | ||||||
2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 |
9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 |
16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 | 22 |
23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 | 29 |
30 | 31 |