সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ডিজিটাল সুবিধা ব্যবহার করে কেউ যেন অপরাধ কার্যক্রম চালাতে না পারে সে ব্যবস্থাও আমাদের নিতে হবে। ডিজিটালাইজেশনের সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বিশেষ করে আর্থিক খাত এবং গোপনীয় বিষয়ের নিরাপত্তা যাতে কোনোভাবেই বিঘ্নিত না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। গতকাল সকালে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় দেশের সর্ববৃহৎ তথ্য প্রযুক্তি মেলা ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৬’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘নন স্টপ বাংলাদেশ’ থিমকে সামনে রেখে সরকারের আইসিটি বিভাগ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের সহযোগিতায় তিন দিনব্যাপী এই মেলার আয়োজন করা হয়। সরকারের ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রণয়নের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট-২০১৬ প্রণয়ন করতে যাচ্ছি। এর আওতায় বাংলাদেশে বিশ্বমানের ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব স্থাপন, সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি গঠন, সাইবার ইন্সিডেন্স রেসপন্স টিম (সিইআরটি) প্রতিষ্ঠা এবং উচ্চ পর্যায়ের ডিজিটাল সিকিউরিটি কাউন্সিল গঠন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত সরকার বিনা খরচে সাবমেরিন ক্যাবলে সংযুক্ত হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও, নিরাপত্তার অজুহাতে তা হাতছাড়া করে। আমরা সরকার গঠন করে দেশের স্বার্থে টাকা খরচ করে সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হই। দেশে কোনো বিকল্প সাবমেরিন ক্যাবল না থাকায় আমরা দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে বাংলাদেশকে যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি। দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে বাংলাদেশ প্রায় ১ হাজার ৩০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ অর্জন করবে।
তিনি বলেন, আমাদের নিজস্ব স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ২০১৭ সালে এর যাত্রা শুরুর পর নিজস্ব চাহিদা পূরণের সঙ্গে সঙ্গে আমরা স্যাটেলাইট ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করতে পারবো। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) ও অ্যাক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) কর্মসূচির পরিচালক কবির বিন আনোয়ার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সভাপতি মোস্তাফা জব্বার। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে নারীদের কম্পিউটার প্রযুক্তি প্রশিক্ষণের সুবিধার্থে ৬টি স্মার্ট বাসেরও উদ্বোধন করেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার শিক্ষাখাতকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেছি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ১৭টি টেক্সট বইকে ডিজিটাল বা ই-বুকে রূপান্তর করেছি। শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিশ্বমানে উন্নীত করতে আমরা সারা দেশে ৩০ হাজার মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করেছি।
সারা দেশে ২ হাজার ১টি ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব’ স্থাপন করেছি। আরো ৯০০টি ল্যাব প্রতিষ্ঠার কাজ শেষের পথে। ৬৪ জেলায় ৬৫টি ল্যাংগুয়েজ ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে দেশে সাড়ে ৫ হাজারেরও অধিক ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করেছি। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের মধ্যে আরো ১০ হাজার ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব’ স্থাপন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তিভিত্তিক উন্নয়নে আমাদের প্রচেষ্টা বিশ্ববাসীর সুনাম অর্জনে সক্ষম হয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তিতে অবদানের জন্য ‘আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১৬’ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তাকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অন্যতম কারিগর আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওর কাছ থেকেই আমি কম্পিউটার চালানো শিখেছি। মা হিসেবে এবং দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এ পুরস্কারে আমি সম্মানিত বোধ করেছি। এ অর্জন শুধু সরকারের নয়, এ কৃতিত্ব দেশের জনগণের। প্রধানমন্ত্রী দেশের বর্তমান আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। বর্তমানে প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ০৫ শতাংশ। মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৪৬৬ মার্কিন ডলার। ৫ কোটি মানুষ নিম্ন আয়ের স্তর থেকে মধ্যম আয়ের স্তরে উন্নীত হয়েছে। দারিদ্র্যের হার আমরা ২২ দশমিক ৪ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী দেশের আইসিটি শিল্পের বিকাশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, জাতির পিতা যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনের পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রযুুক্তিকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থা (আইটিইউ)-এর সদস্যপদ লাভ করে। তিনি ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) প্রতিষ্ঠা করেন। আওয়ামী লীগ দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে পুনরায় জনগণের সেবার সুযোগ পায়। আমরা সরকার গঠন করে মানুষকে উন্নত জীবনদানের প্রতিজ্ঞা করি। তারই অংশ হিসেবে আমরা টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে ঢেলে সাজাই। এ সময় তিনি বিএনপি সরকারের সময় মোবাইল ফোনের একক মনোপলি ব্যবসা ভেঙে দিয়ে ব্যক্তিখাতকে উন্মুক্ত করে দেয়াতেই আজ সবার হাতে মোবাইল ফোন আসতে পেরেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আমাদের সরকার বিগত সাড়ে সাত বছরে আইসিটি খাতে আমূল পরিবর্তন এনেছে। আজ দেশের প্রতিটি উপজেলা ফাইবার অপটিক ক্যাবলের আওতায় এসেছে। যে ব্যান্ডউইথ-এর দাম ২০০৭ সালে ছিল ৭৬ হাজার টাকা, তা কমিয়ে বর্তমানে মাত্র ৬২৫ টাকায় এনেছি। ইতিমধ্যে প্রায় সব উপজেলায় থ্রি-জি সেবার আওতায় এসেছে। আগামী ২০১৭ সালের মধ্যেই ফোর-জি চালুর পরিকল্পনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, দেশে আজ প্রায় ১৩ কোটির বেশি মোবাইল সিম ব্যবহৃত হচ্ছে। ৬ কোটি ৪০ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। ৫ হাজার ২৫০টি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের লোকজন ২০০ ধরনের ডিজিটাল সেবা গ্রহণ করছে। ৩ হাজার ডাকঘরেও ডিজিটাল সেবা দেয়া হচ্ছে। কয়েকটি উন্নত দেশসহ প্রায় ৪০টি দেশে আমরা সফটওয়্যার ও আইসিটি সেবা রপ্তানি করছি। যুব সমাজের কর্মসংস্থানে সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইসিটি ব্যবহার করে তরুণ জনগোষ্ঠীর আউটসোসিং-এর দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আমরা ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। এ প্রকল্পের আওতায় ৫৫ হাজার তরুণ-তরুণীকে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। ইতিমধ্যে ২০ হাজার জনকে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের পাশাপাশি উপার্জনের পথ সুগম করতে ‘বাড়ি বসে বড়লোক’ কর্মসূচির আওতায় ১৪ হাজার ৭শ’ ৫০ জনকে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে, যার মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী। তিনি বলেন, কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিসহ সারা দেশে আরো ২০টির মতো হাই-টেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, আইটি ভিলেজ আমরা গড়ে তুলছি। যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে এ বছরেই পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশা করছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাওরান বাজারে জনতা টাওয়ারে শুরু হয়েছে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের অপারেশন। আমাদের ছেলেমেয়েরা যাতে হাতে-কলমে কারিগরি শিক্ষা নিতে পারে সে জন্য গড়ে তুলছি আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার। প্রধানমন্ত্রী আলোচনা পর্ব শেষে মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিন দিনব্যাপী আয়োজনে মাইক্রোসফট, ফেসবুক, একসেন্সার, বিশ্বব্যাংক, জেডটিই, হুয়াওয়েসহ খ্যাতিমান প্রতিষ্ঠানের ৪৩ জন বিদেশি বক্তাসহ দুই শতাধিক বক্তা ১৮টি সেশনে অংশ নেবেন। এছাড়া নেপাল, ভুটান, সৌদি আরবসহ ৭টি দেশের ৭ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে অংশ নেবেন।
উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন এসেছে। উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। গতকাল সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির এটি শেষ বৈঠক। ২২ ও ২৩শে অক্টোবর সম্মেলনের মাধ্যমে দলের পরবর্তী কমিটি গঠন হবে। দলের গঠনতন্ত্র সংশোধন এবং সম্মেলনের ঘোষণাপত্রসহ সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, যারা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নেয়, সমর্থন করে তাদেরও বিচার হবে। জঙ্গি দমন প্রক্রিয়ায় বিএনপির সমালোচনার জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাপী যেভাবে জঙ্গি দমন করা হচ্ছে এদেশেও সেভাবেই হচ্ছে। এ নিয়ে কে কী বললো, সেটা বড় কথা নয়। শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি উন্নয়ন নয়; মানুষ হত্যা করে। তারা ক্ষমতায় এলে লুটপাট করে। শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন, জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালালে বিএনপি সেই জঙ্গিদের পক্ষেই সাফাই গায়। তিনি বলেন, সরকার কখনও জঙ্গি বা সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেবে না। যখনই তাদের খতম করা হয় বা ধরা হয় তখনই বিএনপির হাহাকার শুরু হয়ে যায়। এসব জঙ্গিদের জন্য বিএনপির হাঁ-হুতাশ কেন? তারা ক্ষমতায় থাকতে তো রাষ্ট্রীয় মদতে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়েছিল। রাজশাহীর বাংলা ভাই… দেশবাসী এখনো এসব ভুলে নাই। এখন যখন যেখানেই জঙ্গিদের আস্তানার খবর পাওয়া যাচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অ্যাকশনে যাচ্ছে। অ্যাকশনে গেলেই বিএনপি জঙ্গিদের পক্ষে সাফাই গায়, প্রশ্ন তোলে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। সম্মেলনে সারা দেশে সাড়া পড়েছে। কারণ জনগণ জানে, একমাত্র আওয়ামী লীগই পারবে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে। তিনি বলেন, আজকে দারিদ্র্য দূর হয়েছে আওয়ামী লীগের গৃহীত নীতির কারণে। আওয়ামী লীগ লক্ষ্য নির্ধারণ করে কাজ করে। লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা একটি দলের কর্তব্য। শেখ হাসিনা জানান, এ দেশের মানুষের জীবনমান কীভাবে আরো উন্নত করা যায় তার প্রতিফলন ঘটবে সম্মেলনে গৃহীত দলের ঘোষণাপত্রে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধারাবাহিক ভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। গ্রামেও এ উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগই একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা ইশতেহার ভুলে যায় না। প্রতি বাজেটের আগে ইশতেহার সব মন্ত্রণালয়ে পাঠাই। নির্বাচনী ইশতেহার পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়ন করি। আমরা যে ওয়াদা করি তা রক্ষা করি। মানুষ তার সুফল পায়। ২০৪১ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হবে, আওয়ামী লীগের এবারের জাতীয় সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে তারই প্রতিফলন থাকবে বলে জানান দলের সভাপতি। দেশের জনগণ বাড়ায় দলের গঠনতন্ত্রে কেন্দ্রে ও তৃণমূলে কমিটির আকার বাড়ানোসহ কিছু পরিবর্তন আনতে হচ্ছে বলে জানান শেখ হাসিনা। সম্মেলন উপলক্ষে বিদেশি অতিথিরা আসা শুরু করছে বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সূচনা বক্তব্যের পর শুরু হয় রুদ্ধদ্বার বৈঠক।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | 4 | 5 | ||
6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12 |
13 | 14 | 15 | 16 | 17 | 18 | 19 |
20 | 21 | 22 | 23 | 24 | 25 | 26 |
27 | 28 | 29 | 30 | 31 |