বাংলাদেশে মার্শাল ল দিয়ে আর্মির ক্ষমতায় আসার পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে । আগামীতে কেউ আর এই প্রক্রিয়ায় ক্ষমতায় আসতে পারবে না। বাংলাদেশের সংবিধানে সেই আইন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় রবিবার বাংলাদেশ ল সোসাইটি এক সেমিনারে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা এ সব কথা বলেন। খবর বার্তা সংস্থা এনা’র।

বাংলাদেশ ল সোসাইটির সভানেত্রী মোর্শেদা জামানের সভাপতিত্বে এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ বখতিয়ারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিচারপতি আব্দুল তারেক, বিচারপতি এস আর হাসান, সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল, জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন, নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কন্স্যুলেটের কনসাল জেনারেল শামীম আহসান, বিশিষ্ট আইনজীবী অশোক কর্মকার, মঈন চৌধুরী, শিশির শীল, সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এ এস এম ফেরদৌস, উপদেষ্টা এমাদ উদ্দিন ও কমিশনার জাকির হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহিদ এবং প্রধান বিচারপতির সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরেন বাংলাদেশের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুর রকিব মন্টু।

প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বাংলাদেশ ল সোসাইটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের বিচারব্যবস্থা কোথায় ছিল এবং আমি দায়িত্ব গ্রহণ করার পর কী করেছি তা আজকে তুলে ধরতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘আমরা এখন বর্তমান বিশ্বে টেরর এবং হরর অবস্থানের মধ্যে আছি। ইসলাম হচ্ছে শান্তির ধর্ম। আর মুসলামদের সালামের অর্থ হচ্ছে শান্তি। ইসলাম কখনো সন্ত্রাসকে সমর্থন করে না। যারা বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে সন্ত্রাস করছে তাদের কোনো ধর্ম এবং দেশ নেই। বর্তমানে সন্ত্রাসের শিকার বাংলাদেশও।’

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বর্তমান সরকার সন্ত্রাসের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছে এবং এসব সন্ত্রাসীকে শাস্তি দিয়েছে। আমরা বাংলাদেশে সব মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। যদিও আমাদের সংবিধানে সবার সমান অধিকার নিশ্চিতের কথা উল্লেখ আছে। এই সমান অধিকার নিশ্চিত করা একটি চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। আমাদের দেশে আইন আছে কিন্তু আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং মাবাধিকার রক্ষায় বিচার বিভাগের বিরাট ভূমিকা রয়েছে।’

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031