তিন নারী ‘জঙ্গি’ রাজধানীর আজিমপুরে ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানে নিহত জঙ্গি তানভীর কাদেরী স্ত্রীসহ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সোমবার তারা সাত দিনের রিমান্ড শেষে তিনজন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামিদের মধ্যে তানভীর কাদেরী ওরফে আবদুল করিমের স্ত্রী আবেদাতুল ফাতেমা ওরফে খাদিজা ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসানের আদালতে, গুলশান হামলার অপারেশনাল কমান্ডার নুরুল ইসলাম মারজানের স্ত্রী আফরিন ওরফে প্রিয়তি ফাকা ম্যাজিস্ট্রেট নূর নবী এবং জঙ্গি বাসারুজ্জামানের স্ত্রী শায়লা আফরিন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরীর কাছে জবানবন্দি দেন। এর আগে গত ৯ অক্টোবর উক্ত আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
গত ১০ সেপ্টেম্বর আজিমপুরে বিজিবি ২ নম্বর গেটের সামনে একটি বাসার দ্বিতীয় তলায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশ ও জঙ্গিদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় এক ‘জঙ্গি’ নিহত এবং পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিন নারী ‘জঙ্গিকে’ আটক করে পুলিশ। পরে তাদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ৮ অক্টোবর ঢাকা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ ওই নারীদের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ইউনিটের কাছে হস্তান্তর করে।
ওই ঘটনায় নিহত জঙ্গি তানভীর কাদেরীর ১৪ বছর বয়সী ছেলে তাহরীম কাদেরীকে গত ১৮ সেপ্টেম্বর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। রিমান্ড শেষে গত ২২ সেপ্টেম্বর সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।