চীনা রাষ্ট্রপ্রধান শি জিনপিং এর সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকায় হোটেল লা মেরিডিয়ানে বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে এই বৈঠক শুরু হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে বৈঠকের আগে জিনপিং বৈঠক করেন স্পিকার শিরীন শারমীন চৌধুরীর সঙ্গে।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কোনো রাষ্ট্রীয় প্রটোকল না থাকলেও চীনা প্রেসিডেন্টের এই সফরে তার সঙ্গে বৈঠকের দিনক্ষণ আগেই নির্ধারিত হয়েছিল।
দুপুরে জিনপিং ঢাকায় আসার পর বেলা তিনটার কিছুক্ষণ আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্ত বৈঠকের পর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করে দুই পক্ষ। পরে পারস্পরিক সহযোগিতার ২৬টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করে দুই পক্ষ।
রাষ্ট্রীয় এই আনুষ্ঠানিকতার পর জিনপিং ফিরে যান তার হোটেলে। সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলেন স্পিকার ও বিএনপি নেত্রী।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে এই বৈঠকে রয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মাহবুবুর রহমান, উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান ও সাবিহউদ্দিন আহমেদ।
বৈঠক থেকে বের হয়ে এসে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের আমলে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক স্থাপিত হয়। চীন সব সময় বাংলাদেশর গুরুত্বপূর্ণ ও অকৃত্রিম বন্ধু। বাংলাদেশ সব সময় আশা করে বংলাদেশের উন্নয়নে চীন সব সময় পাশে থাকবে। একইভাবে চীনও আশা করে উন্নয়ন ভূ রাজনৈতিক বিষয়ে চীনকে বাংলাদেশ সমর্থন করবে।’
দুই পক্ষের মধ্যে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে কোনো জবাব দেননি বিএনপি মহাসচিব।
এর আগে দুপুরে জিনপিং বাংলাদেশে আসার পর তাকে স্বাগত জানিয়ে বিবৃতি দেন বিএনপি নেত্রী। এই বিবৃতিতে তিনি বলেন, জিনপিং এর এই সফর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও জোড়াল করবে।
বিবৃতিতে বিএনপি নেত্রী বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের উদ্যোগে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের কুটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। ‘বাংলাদেশের জনগণ চীনের অব্যাহত সহযোগিতার কথা স্মরণ করে।