শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক সাংবাদিকদের সামনে এ মন্তব্য করেন।বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ক এখন কৌশলগত সম্পর্কে উন্নীত হয়েছে।
এম শহীদুল হক বলেন, ‘দুই পক্ষের আলোচনার মধ্য দিয়ে পারষ্পারিক সম্পর্কে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে। আমাদের সম্পর্ক এখন কৌশলগত সম্পর্কে পরিণত হয়েছে। এখন দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হবে এবং এর ব্যাপ্তি বাড়বে।’
তিনি জানান, দুই নেতার উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে ২৬টি চুক্তি ও সমঝতো স্মারক সই হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ওয়ান বেল্ট-ওয়ান রোড উদ্যোগ, অবকাঠামো, সড়ক, রেল, জলপথ, আইসিটি, তথ্য, মেরিটাইম সহযোগিতা ইত্যাদিসহ নতুন কয়েকটি ক্ষেত্রে সহযোগিতার নতুন দিক উন্মোচিত হয়েছে। তিনি বলেন, চীন পাট এবং তৈরি পোশাক শিল্পে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, কৌশলগত সম্পর্কে উত্তীর্ণ হওয়ার ফলে বাংলাদেশ ও চীনের আর্থ-সামাজিক, অর্থনৈতিক ও অন্যান্য বিষয়াদির ব্যাপ্তি আরও বাড়বে।
বেলা পৌনে ১২টার দিকে দু’দিনের সফরে বাংলাদেশে পৌঁছান জিনপিং। এরপর বিকাল তিনটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে একান্ত আলোচনায় বসেন তিনি। আলোচনার পর হয় দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। বৈঠকের দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি সই হয়। এরপর বিবৃতি পাঠ করেন দুই নেতা।