চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও দুর্যোগ বিষয়ে কর্মরত সহযোগি এনজিও সমূহের সহযোগিতায় এ দিবসটি পালন করা।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সামনে বেলুন উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) মো. খোরশেদ আলম।এরপর একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি কাজির দেউড়ীস্থ পুরাতন বিমান অফিস ঘুরে পুনরায় সার্কিট হাউজে এসে শেষ হয়।
সকাল সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমণ দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) মো. খোরশেদ বলেন, বিভিন্ন দুর্যোগের আগাম বার্তা পাওয়া গেলেও ভূমিকম্পের আগাম বার্তা পাওয়া যায় না।জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণসহ বিভিন্ন কারণে যে কোনো মুহূর্তে দুর্যোগে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। মোকাবেলা শুধু দুর্যোগ আসার পরে- এটাতে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়, দুর্যোগ আসার আগেই মোকাবেলা করার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
এ পর্যন্ত যত দুর্যোগ হয়েছে সবগুলো মার্চ থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে হয়েছে। দুর্যোগকালীন সময় ভয় না করে দুর্যোগ মোকাবেলা ও এর ক্ষয়-ক্ষতি কমিয়ে আনতে সকলকে সচেতন করতে হবে। একই সাথে দুর্যোগের ঝুঁকি কমানোর কৌশলগুলো জনগণকে অবহিত করতে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল.এ) মো. দৌলতুজ্জামান খান বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলার বিভিন্ন কৌশলগুলো সামাজিকভাবে প্রচার করতে হবে। ভয় না করে সম্মিলিত উদ্যোগে দুর্যোগ মোকাবেলা করলে জানমালের ক্ষয়-ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, সিপিপি’র চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মো. রুহুল আমিন ও ওয়ার্ল্ড ভিশনের চিকিৎসক শতদল ধর।
র্যালি ও আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসনে বিভিন্নস্তরের কর্মরত কর্মকর্তা, বেসরকারি ওয়ার্ল্ড ভিশন, ব্র্যাক, কারিতাস, স্কাস, ঘাসফুল, কোডেক, বিবিএফ, ইলমা, ওয়াচ ও ইপসাসহ ২৮টি এনজিও সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।