বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে বিভিন্ন ইস্যুতে ভারতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তাতে ভারতের কাছে কিছু পাবার প্রত্যাশা স্বাভাবিক। তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারতের উপর বাংলাদেশ প্রত্যাশার চাপ বাড়িয়ে চলেছে। আর এ ক্ষেত্রে তিস্তা চুক্তিকেই বাংলাদেশ পাখির চোখ করেছে। ভারতের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক সংবাদে বলা হয়েছে, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলিও জানিয়েছেন, তার সরকারের কাছে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিই অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় তিস্তা চুক্তিই প্রাধান্য পাবে। গোয়াতে আগামী ১৫-১৬ অক্টোবর বিমস্টেক বৈঠকের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আলোচনাতেও তিস্তা চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশের প্রত্যাশার কথাই তুলে ধরা হবে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। তবে কলকাতায় নবান্ন সুত্রে জানা গিয়েছে, তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এখনও মন স্থির করে ওঠেন নি। আর তাই এই বিষয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোনও আশাব্যাঞ্জক আলোচনা হয় নি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও মনে করছেন, তিস্তার পানি দিলে উত্তরবঙ্গ শুকিয়ে যাবে। তবে তিনি কয়েক বছর আগে নদী বিশেষজ্ঞ কল্যান রুদ্রকে মতামত জানানোর জন্য যে কমিটি তৈরি করেছিলেন সেই কমিটির রিপোর্ট পেশ অনেক দিন হয়ে গেলেও সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত সেই রিপোর্ট নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করা হয় নি। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশ সফরে গিয়ে জানিয়ে এসেছিলেন যে, তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে তার উপরে আস্থা রাখতে। সেই ঘোষনার পর এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও তিস্তা নিয়ে কোনও আলোচনাও এগোয় নি। ভারত সরকারও বাংলাদেশকে তিস্তার বিষয়ে বারে বারে প্রতিশ্রুতি দিলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সদর্থক সাড়া না পেলে তাদের পক্ষেও এগোনো সম্ভব নয়। তাই আগামী দ্বিপাক্ষিক আলোচনাতেও ভারতের প্রতিশ্রুতির উপরই বাংলাদেশকে ভরসা রাখতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোদীর সঙ্গে আলোচনায় রাজবাড়ি জেলার পাংশায় গঙ্গা বাঁধ নির্মাণে ভারতকে অংশীদার করার বিষয়টি উত্থাপন করতে পারেন। গঙ্গা যেহেতু ভারত থেকে এসেছে, তাই দীর্ঘ মেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গী থেকেই শেখ হাসিনা ভারতকে এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে। বাংলাদেশের দিকে গঙ্গায় বাঁধ দেবার প্রকল্প বাংলাদেশ সরকার নিয়েছে তার অর্থায়ন নিয়ে চীন ইতিমধ্যেই আগ্রহ দেখিয়েছে। জাপানও প্রকল্প খরচের অর্ধেক বহন করতে রাজি বলে জানিয়েছে।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | 4 | 5 | ||
6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12 |
13 | 14 | 15 | 16 | 17 | 18 | 19 |
20 | 21 | 22 | 23 | 24 | 25 | 26 |
27 | 28 | 29 | 30 | 31 |