পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট মহাদেশ অস্ট্রেলিয়া । মহাদেশটি ভারত সাগর ও দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝে অবস্থিত। অস্ট্রেলিয়ার মোট জনসংখ্যা ২ কোটি ৩০ লাখের বেশি। তবে মোট জনসংখ্যার শতকরা ২২ ভাগ কোনো ধর্মে বিশ্বাস করে না। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী খ্রিস্টান ৬৪ ভাগ, ধর্মহীন ২২ ভাগ, বৌদ্ধ ২ দশমিক ৫ ভাগ ও মুসলমান ২ দশমিক ২ ভাগ।
বেসরকারী হিসেব মতে মুসলমানদের সংখ্যা ৫ লাখের কাছাকাছি। মুসলমানদের সর্বাধিক অধিবাস নিউ সাউথ ওয়েলসে, দ্বিতীয়ত ভিক্টোরিয়াতে, তৃতীয়ত কুইন্সল্যাণ্ডে আর চতুর্থ নম্বরে আছে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে কয়েক লাখ মুসলমানের বাস। সেখানে তাবলিগ জামাতের মিনি ইজতেমাও অনুষ্ঠিত হয়। এই সিডনিতেই অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় মসজিদ অবস্থিত।
কয়েক বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম মুসলিম সংসদ সদস্য এড হোসিচ পবিত্র কোরআন ছুঁয়ে শপথ নিয়ে খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন।
এবার খবরের শিরোনাম হলেন অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পার্লামেন্টে প্রথম নির্বাচিত মুসলিম মহিলা এমপি মিসরীয় বংশোদ্ভূত ড. আন্নি এলি (Anne Aly)।
ইতোমধ্যেই এই মুসলিম মহিলা এমপি হিসেবে যোগ দিয়েছেন দেশটির পার্লামেন্টে। মিসরীয় বংশোদ্ভূত ড. আন্নি এলি পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার কোয়ান রাজ্য থেকে অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টির টিকিটে নির্বাচিত হয়েছেন।
পার্লামেন্টে যোগ দিয়ে প্রথম ভাষণে ড. এলি বলেন, আমি মানবতার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন উভয়রূপই দেখেছি করেছি।
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ বিশেষজ্ঞ ড. আন্নি এলি বলেন, তিনি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কাজ করেছেন। এ ছাড়া যুদ্ধে ও সংঘর্ষে যারা স্বজন হারিয়েছেন এমন পরিবারের সঙ্গে ও সন্ত্রাসবাদের আদর্শে উদ্বুদ্ধ তরুণদের সঙ্গেও কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে তার।
তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি প্রত্যেক তরুণ তার জীবনে ভুলের সম্মুখীন হতে পারে এবং অস্ট্রেলিয়ার সমাজব্যবস্থায় তাদের পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ রয়েছে।
ড. এলি বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে। কিন্তু এটা ভুলে গেলে চলবে না, ওই কারণগুলো ধীরে ধীরে কমিয়ে আনতে হবে।
ড. এলির পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণ নিয়ে মুসলিম সম্প্রদায় দারুণ খুশি। তারা মনে করছেন, তিনি কোয়ান থেকে নির্বাচিত হলেও তাদেরই প্রতিনিধিত্ব