প্রাচীন, বিরল ও দুলর্ভ এসব কোরআনের পাণ্ডুলিপির বেশ কয়েকটি নবম শতাব্দীর। জাতীয় লাইব্রেরিতে (The National Library of Israel) প্রায় আড়াই হাজার ইসলামি গ্রন্থ (২৪০০) এবং পবিত্র কোরআনে কারিমের হস্তলিখিত শতাধিক বিরল পাণ্ডুলিপি সংরক্ষিত আছে।
তবে বেশিরভাগ পাণ্ডুলিপি ১২ শতাব্দী থেকে শুরু করে ১৫ শতাব্দীর বিভিন্ন সময়ে লেখা। সংরক্ষিত কোরআনের মাঝে রয়েছে নাসখ লিপিতে লেখা মামলুক যুগের কোরআন, ভারতের মূঘল আমলে লিখিত কোরআন। আরও রয়েছে ১৬১৪ সালের ইমাদুদ দীন ইব্রাহিমির পাণ্ডুলিপি এবং কাশ্মির, ইরান ও উত্তর অফ্রিকা থেকে সংগ্রহকৃত কোরআনের কপি।
ইসরাইলের আরবি পত্রিকা দৈনিক ‘রাই আল ইয়াওম’ এ খবর দিয়েছে। স্থানীয় টেলিভিশন এ বিষয়ে রিপোর্ট করা হয়। এতে বলা হয়, গত রমজান মাসে ইসরাইলের সংগ্রহে থাকা শতাধিক কোরআন থেকে বাছাই করে ৩০টি কোরআনের প্রদর্শনী করে ইসরাইলের জাতীয় লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ।
পত্রিকা ও টেলিভিশনের রিপোর্টের পর গোটা মুসলিম বিশ্বে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পরে ইসরাইলের জাতীয় লাইব্রেরির ওয়েবসাইটে প্রদর্শনকৃত ৩০টি কোরআন পরিচিতিসহ ছবি কালেকশন ক্যাটাগরিতে ইসলাম অ্যান্ড মিডলইস্ট শিরোনামে আপ করে। এখনও ছবিগুলো দেখা যাচ্ছে।
তবে ইসরাইলের জাতীয় লাইব্রেরিতে ইসলাম বিষয়ক আর কি কি সংগ্রহ আছে তা জানা যায়নি।
ইসরাইলের জাতীয় লাইব্রেরিটি জেরুজালেমে অবস্থিত। পত্রিকার দাবি, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানরা বেশ গোপনে লাইব্রেরিটি দেখতে আসেন।
এই গ্রন্থাগারের প্রাচীন গ্রন্থের মধ্যে অন্যতম আরেকটি হচ্ছে ১ হাজার বছর পূর্বের তাওরাতের কপি এবং মুসা বিন মাইমুনের লেখা দর্শনের গ্রন্থ। যা রেইমনস নামে বেশি পরিচিত।
উল্লেখিত পাণ্ডুলিপির কয়েকটি হলো-
এটি উসমানি পাণ্ডুলিপি নামে প্রসিদ্ধ। ১৮৭০ সালে মুহাম্মদ আল হেলমির ছাত্র হাজি মুহাম্মদ শরিফের হাতে লেখা কোরআন শরিফ। তৃতীয় হিজরির প্রথম দিকে কুফি বর্ণমালায় লেখা কোরআন শরিফ।
শিরাজি পাণ্ডুলিপি নামে প্রসিদ্ধ ১০২৩ হিজরিতে ইমাদ উদ্দীন ইবনে ইবরাহিম শিরাজির লেখা কোরআন শরিফ। এটি মুঘল আমলের লেখা কোরআনের কপি। মুঘল বাদশা ফররুখ শিয়ারের শাসনামলে (১৭১৩-১৭১৯) ইয়াকুত খান নামের এক লিপিকর ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে কোরআনটি লেখেন।