চট্টগ্রাম নগরীর সব কটি পূজা মন্ডপের প্রতিমাগুলো বৃষ্টির মধ্যেও নেয়া হচ্ছে বিসর্জন দেয়ার জন্য সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচে বড় উৎসব দুর্গাপূজার বিজয় দশমীর দিনে দুপুর থেকে ।
পুলিশের পক্ষ থেকে সময় বেঁধে দেওয়ার কারণে সন্ধ্যার আগেই যাতে নগরীর সব মণ্ডপের প্রতিমা কর্ণফুলী নদী, পতেঙ্গা ও কাট্টলী সৈকতে ভাসানো যায় সে লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছে।
মঙ্গলবার(১১ অক্টোবর) দুপুর তিনটার দিকে আন্দরকিল্লা যাত্রা মোহন সেন হলে গিয়ে দেখা গেছে বিরতিহীন বৃষ্টির মধ্যে ট্রাকে ওঠানো হচ্ছে প্রতিমা। সবার মুখে ওলু ধ্বনি।
নগরীর ২৩১টি পূজামণ্ডপের মধ্যে বেশিরভাগই ভাসানো হবে পতেঙ্গা সৈকতে। এ লক্ষ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন,পূজা উদযাপন পরিষদ, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন।
বিকেল তিনটায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে প্রতিমা বিসর্জন র্যালীর আয়োজন করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।নগর ভবন মোমিনরোড থেকে র্যালীটি বের হওয়ার জন্য একে একে প্রতিমা ভর্তি ট্রাক আসতে শুরু করেছেল।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার ভূইয়া গত বৃহস্পতিবার(৬ অক্টোবর) প্রতিমা বিসর্জনের জন্য বিকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে প্রতিমা বির্সজন সম্পন্ন করার জন্য আদেশ দিয়েছিল।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার পালিত ও অসীম কুমার দেব জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানান।
নগরীর বাইরে এবার চট্টগ্রাম জেলার ১৪ উপজেলা ও দুটি থানায় ১ হাজার ৪৩৯টি মণ্ডপে প্রতিমা পূজা ও পারিবারিকভাবে ২৫০টি ঘটপূজা হয়েছে। এসব প্রতিমা কর্ণফুলী ও হালদা নদী, শঙ্খ নদ, বঙ্গোপসাগর, স্থানীয় বড় খাল, দীঘি, পুকুরে ভাসানো হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম জেলা শাখা সভাপতি শ্যামল কুমার পালিত।
তিনি জানান, শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আয়োজনে এবার রাউজান, বোয়ালখালী, পটিয়া, আনোয়ারা,বাঁশখালী,মিরসরাই, সীতাকুণ্ড, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, রাঙ্গুনিয়া, লোহাগাড়া, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, সন্ধীপে সর্বমোট সাড়ে ১৬’শ পূজা হয়েছে।