বিপুল পরিমাণ ইলিশ মাছ এবছর নদীতে ধরা পড়েছে । গত এক যুগেও এত ইলিশ ধরা পড়েনি বলে দাবি জেলে ও ব্যবসায়ীদের। বাজারে অন্য মাছের তুলনায় ইলিশের যোগানই বেশি। ফলে দামও নাগালের মধ্যে। মানুষও দেদারছে কিনছে ইলিশ। তবুও ইলিশের স্তুপ। আর ক্রেতা টানতে অভিনব নানা উপায়ও অবলম্বন করা হচ্ছে। ছাড়া হয়েছে লাকি কূপনও।
সাতক্ষীরার ব্যবসায়ীরা মাইকে ঘোষণা করছে- ‘তিনশো টাকার ইলিশ কিনলেই লাকি কুপন ফ্রি’। আর লাকি কূপনে থাকছে রঙিন টেলিভিশন, বাইসাইকেলসহ নানা পুরস্কার।
সাতক্ষীরায় এর আগেও মাইকিং করে ইলিশ মাছ বিক্রয় দৃষ্টান্ত রয়েছে। তবে লাকি কুপনে ইলিশ বিক্রির দৃষ্টান্ত সাতক্ষীরায় তো বটেই দেশের মাটিতেও এই প্রথম।
মঙ্গলবার ছিলো এ মৌসুমে ইলিশ মাছ বিক্রির শেষ দিন। এদিনের মধ্যেই সব ইলিশ বিক্রি শেষ করতে চান ব্যবসায়ীরা।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২দিন ইলিশ মাছ ধরা, বিক্রয় করা ও পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
সাতক্ষীরা সুলতানপুর বড়বাজারের ইলিশ বিক্রেতা নজরুল ইসলাম, আবুল বাশারসহ অনেকেই জানান, এ বছর সাগরে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়েছে। তাছাড়া এবছর ইলিশ পাচার বন্ধে প্রশাসন কঠোর ভূমিকা পালন করায় ইলিশ মাছ সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে এসেছে।
অন্যবার যে মাছের দাম ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, এবছর সে মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়।
মাছ ক্রেতা আব্দুস সামাদ, সেলিম হোসেনসহ অনেকেই বলেন, ইলিশ মাছ পাচার বন্ধ হবার কারণে স্বল্প আয়ের মানুষও আজ তাদের সন্তানদের মুখে ইলিশ তুলে দিতে পারছেন।
এককেজি ইলিশ কিনতে গত বছর এক বস্তা (দেড় মণ) ধান বিক্রি হতো। এবছর সেই একবস্তা ধান বিক্রির টাকায় চার কেজি ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে।
ক্রেতারা আরও জানান, ইলিশের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকায় মাংস ও ডিমের দামও কমেছে।
সাতক্ষীরা সুলতানপুর বড়বাজার মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম মোড়ল বলেন, ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ মাছ আমদানি ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
এবছর ইলিশের দাম ২০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে করে সব শ্রেণির মানুষ ইলিশ মাছ কিনতে পারছেন।