বৃদ্ধি পেয়েছে মাদক ব্যবসা।চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন বলেছেন,জেলা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক রয়েছে এবং অপরাধ প্রবণতা অনেকটা হ্রাস পেয়েছে।
রোববার (৯ অক্টোবর) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব সম্পন্ন করা হবে জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন,এ জন্য স্থানীয় প্রশাসন,আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী,উপজেলা চেয়ারম্যান,উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পূজা পরিষদ ও আইন-শৃঙ্খলা কমিটিসহ সকলে একযোগে কাজ করবে।
এছাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারেরা পূজা মন্ডপগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি জানতে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলাসহ মনিটরিং সেল করবে। এতে করে পূজা মন্ডপে যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানানো যাবে।
জেলা প্রশাসক বলেন,আমাদের সন্তানেরা মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে। আমরা আমাদের সন্তানদের মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে না পারলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। কিছু কিছু জায়গায় ইউপি সদস্যরা ও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ রয়েছে। জনপ্রতিনিধিরা জনগণের দৌঁড়গোড়ায় যায়। তারা যদি মাদকে জড়িয়ে যায় তাহলে জনগণের কল্যাণ কখনো সম্ভব নয়। যে সব জনপ্রতিনিধি মাদকের সাথে জড়িত এবং ব্যাংকের মাধ্যমে মাদক ব্যবসার টাকা লেনদেন করে তাদের ব্যাপারে গোপনে তথ্য দিলে খুব দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাই দেশের কাক্সিক্ষত উন্নয়নের ধারা অব্যাহতসহ মাদকের কবল থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে সর্বস্তরে মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে জনমত গড়ে তুলতে হবে।
সভায় গত সেপ্টেম্বর মাসের খাতওয়ারী অপরাধ চিত্র মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে তুলে ধরেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মমিনুর রশিদ।
জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (সদর) মো. হাবিবুর রহমান,অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মমিনুর রশিদ, সির্ভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. সাহাব উদ্দিন, চিটাগাং চেম্বারের পরিচালক সৈয়দ মাহফুজুল হক শাহ, জেলা পিপি এডভোকেট একেএম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।