বাংলাদেশ মিরপুরে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডকে বড় টার্গেট দিতে পারেনি । টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৩৮ করেছে স্বাগতিকরা। মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদের অবদান সেখানে ৭৫ রান। যদিও এই স্কোরও হওয়ার কথা ছিল না। শেষ দিকে মাশরাফি বিন মর্তুজার ২৯ বলে ৪৪ ও নাসিরের অপরাজিত ২৭ রানের সুবাদে শেষ পর্যন্ত সম্মানজনক স্কোর দাঁড় করে স্বাগতিকরা।
বড় স্কোরের পূর্বশর্ত হচ্ছে ভালো শুরু।কিন্তু এদিন শুরুটা হলো একেবারেই ম্যাড়মেড়ে। প্রথম ওভার থেকেই বাড়তি সতর্কতা ছিল দুই ওপেনারের।ভয়ডরহীন ক্রিকেটের পরিবর্তে এদিন তামিম-ইমরুলের ব্যাটে ছিল জড়তা।
গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইমরুল কায়েস ফিরলেন ১১ রানে ১৮ বল খেলে। এর কিছুক্ষণ পরই ফাস্ট বোলার ওয়েকসের দ্বিতীয় শিকার হন অপর ওপেনার তামিম ইকবাল। ৩১ বলে ১৪ রান করেন তিনি।
২৬ রানে নেই দুই ওপেনার। শুরুর এই ধাক্কা সামাল দেওয়ার দায়িত্ব ৩,৪, ৫ নম্বরের ব্যাটসম্যানদের। রিয়াদ সেই দায়িত্ব পালন করতে পারলেও সাব্বির রহমান এদিনও ছিলেন ব্যর্থ। শুধু কি ব্যর্থ? আউট হয়েছেন ২১ বলে মাত্র ৩ রান করে। ওয়ানেডেতে এমন বিশ্রী ব্যাটিং কি হয়?
টানা অফফর্মের মধ্য দিয়ে যাওয়া মুশফিক এদিন ভালোই শুরু করেছিলেন। কিন্তু সেই ভালোটা ধরে রাখতে পারেননি। ২৩ বলে ২১ করে ফিরতে হয়েছে ড্রেসিংরুমে। এরপর ১২ বলে মাত্র ৪ রান করে সাকিব আউট হয়ে গেলে মহাবিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
তবে এদিন রিযাদ খুঁজে পান নিজেকে। একপ্রান্ত শুধু আগলেই রাখেননি, রানও করে যান তর তর করে। মুশফিকের সঙ্গে ৫০ রানের পর মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে বাঁধেন ৪৮ রানের জুটি।
কিন্তু ৮৮ বলে ৭৫ রান করার পর আদিল রশিদের অসাধারণ এক বলে এলবি হয়ে ফিরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। জুটি ভেঙ্গে যাবার পর মোসাদ্দেকও আউট হয়ে যান দ্রুত। ৪৯ বলে ২৯ করার পর সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরেন এ তরুণ ব্যাটসম্যান।
নাসিরের দিকে চোখ ছিল সবার। প্রায় এক বছর পর একাদশে জায়গা পাওয়া নাসিরের উপর প্রচণ্ড চাপও ছিল। কিন্তু সেই চাপ জয় করলেন নাসির। তিনি যে ভালো ফিনিশার সেটার প্রমাণ দিয়েছেন আবারও। ২৭ বলে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
তবে কাজের কাজটি করে গেছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ২৯ বলে ৪৪ রানের ( তিন ছক্কা ও দুই চার) অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। মাশরাফির কল্যাণেই শেষ পর্যন্ত ২৩৮ রানের সম্মানজনক স্কোর দাঁড় করাতে পারে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের পক্ষে ওকস, আদিল রশিদ ও বেল ২টি করে উইকেট নেন।