স্ত্রীর স্বীকৃতি চাওয়ায় লক্ষ্মীপুরে কলেজছাত্রী ফারহানা আক্তারকে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। জেলা বিএমএ’র সভাপতি ও লক্ষ্মীপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. আশফাকুর রহমান মামুনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন ফারহানা আক্তার। সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফারহানা মানবজমিনকে বলেন, দীর্ঘদিন সেভ দ্য চিলড্রেন-এর মা-মনি প্রকল্পের লক্ষ্মীপুর অফিসে তিনি চাকরি করতেন। এ সুবাদে লক্ষ্মীপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক ডা. আশকাফুর রহমান মামুনের সঙ্গে তার সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে প্রেম-ভালোবাসা। এ সম্পর্ক চলে বেশ কয়েক মাস। একে অপরের সঙ্গে দেখাশুনা। ঢাকা-চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বেড়ানোসহ সব হয়েছে। তারপর সিদ্ধান্ত হয় বিয়ের। পাশাপাশি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রিতে পড়াশুনা করতেন ফারহানা। গত বছরের ২৭শে ডিসেম্বর ৩০ লাখ টাকার দেন মোহরে সিলেট এলাকার সুরমা ভ্যালী রেস্ট হাউজে ডা. ইমামুলের মধ্যস্থতায় ডা. আশফাকুর রহমান মামুনের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেয়া নিয়ে তার সঙ্গে আমার দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এরপর পড়ালেখার কারণ এবং স্বামীর স্বীকৃতির জন্য লক্ষ্মীপুরে আসা-যাওয়া। লক্ষ্মীপুর শহরের শাখাঁরীপাড়া ছোটপুল এলাকায় বান্ধবী সবিতা রাণী নামে এক ভিজিটরের বাসায় থাকতেন তিনি। শুক্রবার লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ থেকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রি পরীক্ষা দিচ্ছিল। পরীক্ষা শেষে ফারহানা বিকালে পাবনার উদ্দেশ্য সবিতা রাণীর বাসা থেকে বের হয়। অপেক্ষা করেও বাস কাউন্টারে টিকিট না পেয়ে ফের বাসায় ফেরার পথে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ৩-৪ যুবক তার পথ গতিরোধ করে তার ওপর হামলা হয়। এছাড়া আমি মামুনের কাছে কাবিননামা চাইলে সে আমাকে লক্ষ্মীপুরে না আসার জন্য বলে এবং আসলে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেন। মামুন আমাকে ভাড়াটিয়া দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেন ফারহানা।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, আহত কলেজছাত্রী ফারহানাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার পেটে ও বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে। ডা. আশফাকুর রহমান মামুন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটি একটি ষড়যন্ত্র। ওই মহিলা নিজের শরীর কেটে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। তবে এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান, পুলিশ সুপার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | ||||||
2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 |
9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 |
16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 | 22 |
23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 | 29 |
30 | 31 |