বিএনপি জঙ্গিবিরোধী অভিযানে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের হত্যা করা নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছে । দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘জঙ্গিদের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার তথ্য বেরিয়ে যাবে বলে আওয়ামী লীগ সরকার জঙ্গিদের ধরে মেরে ফেলছে।’

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক প্রতিবাদ সভায় এ অভিযোগ করেন নজরুল ইসলাম। দেশনেত্রী ফোরাম নামের একটি সংগঠন প্রতিবাদ সভাটির আয়োজন করে।

নজরুল ইসলাম খান যখন এই সমাবেশে বক্তব্য রাখছিলেন তখন গাজীপুর ও টাঙ্গাইলে ‍তিনটি সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালাচ্ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে গাজীপুরে দুইজন এবং টাঙ্গাইলে দুই জন মারা যান।

এর আগে গত ২৬ জুলাই মিরপুরের কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানে নয় জনের মৃত্যুর পর বিএনপি এই অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তোলে। বিএনপির প্রয়াত নেতা আ স ম হান্নান শাহ প্রশ্ন তোলেন নিহতরা সত্যিই জঙ্গি কি না। ২৭ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়া অভিযানে সাম্প্রতিক জঙ্গি তৎপরতার মূল হোতা তামিম চৌধুরীসহ তিন জনের মৃত্যুর পর সে অভিযান নিয়েও প্রশ্ন তোলে বিএনপি।

এই অভিযানের চার দিন পর ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেন, ‘তাদেরকে (জঙ্গি) গুলি করে মেরে ফেলা হয়। কেন গুলি করে মেরে ফেলা হয়? কারণটা কী? এর ভেতরে রহস্য নিশ্চয়ই আছে।’

খালেদা জিয়ার এমন প্রতিক্রিয়ার পর এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্পর্ক থাকার কারণেই বিএনপি নেত্রী জঙ্গিদের জন্য দরদ দেখাচ্ছেন বলেই বিএনপি নেত্রী এ কথা বলেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘জঙ্গিদের সঙ্গে আসলে জড়িত আওয়ামী লীগ। তাদের আমলেই এদের উত্থান। আর বিএনপি জঙ্গিদেরকে ধরে বিচার করছে। এখন তাদের সঙ্গে সরকার দলের সম্পর্ক প্রকাশ হয়ে যাবে বলেই সন্দেহভাজনদেরকে গ্রেপ্তার না করে হত্যা করছে তারা।’

বর্তমান সরকার ক্রমাগত অন্যায়-অবিচার করে যাচ্ছে উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এই সরকার বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা করবে, এটা অস্বাভাবিক নয়।  কেননা এই সরকার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। তারা জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে ভয় পায়।’

সরকারের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন। তিনি বলেন, ‘তারা মনে করে তাদের অপরাধের কোনো বিচার হবে না।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এ কে এম বশির উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, বিএনপি নেতা আবু নাসের মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ, শাহজাহান মিয়া প্রমুখ।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031