ভুলের মালা গলায় পরলে যা হয় আর কী। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে তাই হয়েছিল। এক মোশাররফ রুবেলই যথেষ্ট ছিলেন ম্যাচ হারার জন্য। কেউ একজন একদিন খারাপ করতেই পারেন, তাই বলে তাকে নিয়ে এত আলোচনার কী আছে! দলটা যখন জাতীয় দল, আর পাইপলাইনে যখন নাসিরের মতো খেলোয়াড় আছেন, তখন আলোচনা না করলে যে কারো বিবেক যে নড়েচড়ে বসবে। হয়তো বিসিবির বাদে!
মোশাররফ রুবেল আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে যেভাবে ব্যাটিং করছিলেন, তাতে বাংলাদেশি সমর্থকদের জ্বালা ধরাটাই স্বাভাবিক। তিনি আউট হয়ে যাওয়ার পর টিভি ধারাভাষ্যকার পর্যন্ত বলতে বাধ্য হয়েছিলেন, ‘বাংলাদেশি সমর্থকদের জন্য এটি স্বস্তির ব্যাপার।’ এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গোটা ম্যাচে যেভাবে নড়বড়ে হাত নিয়ে ফিল্ডিং করলেন, তার কোনো জবাব কারো কাছে ছিল না।
দ্বিতীয় ম্যাচের আগেরদিন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন যা বললেন, তাতে যে কেউ ভাবতেই পারেন, ‘সিরিজে ফেরার ম্যাচেও নাসিরকে উপেক্ষা করা হবে।’ পাপন নিজেই বিকেলে প্রশ্ন তুলে দিলেন, ‘নাসির কার জায়গায় খেলবেন?’
কোনো দেশের বোর্ড সভাপতির সিরিজ চলাকালীন এভাবে বক্তব্য দেয়ার নজির খুব একটা নেই। পাপন অবশ্য মাঝে মাঝে এসব বলে থাকেন। পাপন নাসিরের ব্যাপারে উদাসীনতার কথা বললেও এখনই ধরে নেয়া যাচ্ছে না ‘নাসির দ্বিতীয় ম্যাচে নেই’। কেননা টিম মিটিংয়ে শেষ পর্যন্ত নাসিরের ব্যাপারে একটা সুরাহা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ রবিবার বেলা আড়াইটায় শুরু হওয়া ম্যাচে হারলে সিরিজ হাতছাড়া হয়ে যাবে। এরপর ১২ অক্টোবর হোয়াইটওয়াশ ঠেকানোর চিন্তা করতে হবে। তার আগে হাথুরুসিংহে দলে কোনো অদলবদল আনেন কি না সেটাই দেখার বিষয়।
ইংল্যান্ড গরমে কাহিল। বাংলাদেশে আসার পর থেকেই তাদের এই অবস্থা। জ্যাসন রয় আর জনি ব্যারিস্টো নাকি ইতিমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। রয় বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডিং করার সময় কাঁধে ব্যথা পান। আর ব্যারিস্টোর নিতম্বের পেশিতে টান ধরেছে। এছাড়া অভিষিক্ত নায়ক জ্যাক বল শেষ স্পেলে বল করতে এসে ব্যথা অনুভব করায় রাতেই ওষুধ খান। প্রথম ম্যাচে জ্যাক ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। ইংল্যান্ডের চিন্তা এখন এই তিনজনের সেরা ওঠা নিয়ে।
ইনজুরি নিয়ে বাংলাদেশের চিন্তা না থাকলেও অন্যদিক নিয়ে চিন্তার অন্ত নেই। শেষদিকে ব্যাটিংয়ের রোগ সারছে না। লেগ স্পিন মোকাবিলার দুর্বলতা প্রকট হচ্ছে। তাসকিন নিজের ফর্মে নেই। স্পিনার বলতে সাকিব যা একটু চেষ্টা করছেন। প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো করলেও আসল লড়াইয়ে মুশফিক সেই খোলসের ভেতর। আর ফিল্ডিংয়ের ব্যথা তো ‘সর্বঅঙ্গে’।
লঙ্কান হাথুরু ওষুধ দিতে ‘ওস্তাদ’। কোথায় কী লাগাতে হবে, তা নিশ্চয়ই তিনি জানেন। কাল তার ওষুধে মান বাঁচে কী না, সেই প্রশ্ন কিন্তু উঠেই যাচ্ছে।
উত্তর তোলা থাকলো সময়ের হাতে!
বাংলাদেশ একাদশ (সম্ভাব্য): তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, সাব্বির রহমান রুম্মন, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মাশরাফি বিন মর্তুজা, মোশাররফ রুবেল, তাসকিন আহমেদ, শফিউল ইসলাম।