প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ কর্মসূচিতে অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেন । তিনি আজ বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে বলেন, এই কর্মসূচিতে কোনো অনিয়ম হলে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অনিয়মে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও যদি জড়িত থাকেন তাহলে তারাও ছাড়া পাবেন না। সংসদ নেত্রী এ সময় অনিয়ম প্রতিরোধে সংসদ সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তাদের নজরদারির নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী জানান, ১০ টাকা কেজিদরে সরকারের চাল বিতরণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
সম্প্রতি সরকারের নতুন এই কর্মসূচিতে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে এবং এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রাকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় হতদরিদ্রদের কার্ড এলাকার প্রভাবশালীদের নামে দেয়ার অভিযোগ নিয়ে বিক্ষোভও হয়েছে। এছাড়া ১০ টাকার চাল কালোবাজারে বিক্রির খবরও পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
আজ শেখ হাসিনা এসব ব্যাপার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেন। সংসদ নেত্রী বলেন, ‘৫০০ জন সুবিধাভোগীর জন্য একজন করে ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানরা এ তালিকা করছেন। এই তালিকায় যদি গরমিল থাকে অর্থাৎ হতদরিদ্র যাদের জন্য এ কাজ, সেটা না দিয়ে অন্য কাউকে দিয়ে থাকে, তাহলে আমি অবশ্যই মাননীয় স্পিকার আপনার মাধ্যমে জাতীয় সংসদের সদস্যদের অনুরোধ করব তারা যেন এ তালিকাগুলো একটু পরীক্ষা করে দেখেন। পাশাপাশি আমাদের সরকারি কর্মকর্তা যাঁরা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাঁরাও দেখবেন কোথাও অনিয়ম হচ্ছে কি না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা সচ্ছল, খাবার কিনে খেতে পারে, তারা এটা পাবে না, তাদের নাম কাটা যাবে। যারা খাবার কিনে খেতে পারে না, তাদের নাম তালিকাভুক্ত করতে হবে। তারপরও কেউ যদি অনিয়ম করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা ডিলার হয়েছে, তাদের ডিলারশিপ বাতিল করা হবে। আর নির্বাচিত প্রতিনিধি যদি অনিয়ম করেন, তাঁর বিরুদ্ধেও আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’
গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে হতদরিদ্রদের মাঝে ১০টাকায় চাল বিতরণ কর্মসূচি চালু হয়।প্রধানমন্ত্রী নিজে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। দেশের ৫০ লাখ লোককে মাসে ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল দিচ্ছে সরকার। ১২ মাসের মধ্যে মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এই চাল বিতরণ করা হবে। হতদরিদ্রদের তালিকা প্রণয়ণে বিধবা ও প্রতিবন্ধী নারীদের প্রধান দেয়া হচ্ছে।