বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সুন্দরবনের কাছে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতা করে বলেছেন, বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিনিময়ে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে দেয়া যাবে না। দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে বিএনপি কখনো আপস করেনি, করবে না। অন্য কাউকেও আপস করতে দেবে না। বিএনপি দেশের জনগণের পক্ষেই সব সময় কাজ করেছে। হয়তো সব সময় সফল হয়নি। কিন্তু বিএনপির আন্তরিকতার অভাব নেই। জনগণকে পাশে নিয়েই বিএনপি সংকট মোকাবিলা করবে। রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সরকারের নেয়া ‘জনবিরোধী’ যেকোন সিদ্ধান্তের প্রতিরোধ করবে। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (অ্যাব) আয়োজিত ‘রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র: কারিগরি, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ত্রি-মাত্রিক বিপত্তি’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। আমরা উন্নয়নের জন্য বিদ্যুৎ চাই। কিন্তু সুন্দরবন ধ্বংস করবে যে প্রকল্প তা আমরা চাই না। রামপাল নিয়ে সরকারের যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। শুধু রামপাল প্রকল্প নয়, সরকার যতগুলো চুক্তি করেছে তার সবই দেশের স্বার্থবিরোধী। সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলে তাদের কোনো জবাবদিহিতাও নেই। সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার অন্য দেশের স্বার্থে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। কারণ, তারা ক্ষমতায় টিকে আছে অনৈতিকভাবে। ভবিষ্যতেও তথাকথিত একটি নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসার জন্য কৌশল নির্ধারণ করছে। সে কৌশল নির্ধারণের একটি উপায় হচ্ছে, যারা তাদের এই অনৈতিক কাজটি করতে সাহায্য করেছিল, তাদের স্বার্থকে তারা বজায় রাখছে। তিনি বলেন, দেশে কোন বিনিয়োগ নেই। বিনিয়োগের কোন পরিবেশও নেই। অথচ প্রবৃদ্ধি নাকি বেড়ে যাচ্ছে। আসলে প্রচার মাধ্যম ব্যবহার করে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে সরকার। শুধু রামপাল নয়, সরকার প্রতিটি প্রকল্পের পেছনে অতিরিক্ত ব্যয় দেখায়। ১০ টাকার খরচ ৩০-৪০ টাকা দেখায়। উন্নয়নের কথা বললেও এসব প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দুর্নীতি। রামপাল সম্পর্কে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কোন আগ্রহ নেই দাবি করে তিনি বলেন, ওই এলাকার জনগণকে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়ে সচেতন করতে হবে। তাদেরকে দিয়েই এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত গড়ে তুলতে হবে। গোলটেবিল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অ্যাব সভাপতি ও চারদলীয় জোট সরকার আমলের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সচিব আ ন হ আক্তার হোসেন। আলোচনায় অংশ নেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি খন্দকার মোস্তাহিদুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মাহবুব উল্লাহ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, ডা. জাহিদ হোসেন, ড. সুকোমল বড়–য়া, সাংবাদিক সৈয়দ আবদাল আহমেদ প্রমুখ।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | 4 | 5 | ||
6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12 |
13 | 14 | 15 | 16 | 17 | 18 | 19 |
20 | 21 | 22 | 23 | 24 | 25 | 26 |
27 | 28 | 29 | 30 | 31 |