বিশিষ্ট কলামিস্ট, সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, মিডিয়া থেকে জানা গেছে সরকার বোধ হয় গ্যাসের দাম বাড়াতে চায়। সরকার বলেছে তারা তেলের দাম কমাবে। এটা একটা কৌশল। এটা করে মানুষকে শান্ত রেখে বলা হবে- মানুষতো খুশি। তাই মনে হচ্ছে তেলের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়ে গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে জনগণের সাথে এক ধরণের চালাকি করা হবে । ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ আবুল মকসুদ এসব কথা বলেন। নাগরিক সমাজের ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ আবুল মকসুদ গ্যাসের দাম বাড়ানোর ব্যাপারে সরকারের কাছে এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে জানতে চান।
তিনি বলেন, এটা জানার অধিকার জনগণের আছে। কেননা রাষ্ট্র জনগনের। পরিবহন ভাড়াসহ বিদ্যুৎ, সার, নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য ও সেবার দাম আরেক দফা যাতে না বাড়ে সেজন্য নতুন করে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি না করার দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, জনগণের কথা চিন্তা করে, তাদের যেনো কষ্ট না হয় তা ভেবেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এদিকে সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক এম শামসুল আলম তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, রাজস্ব বোর্ডেও প্রজ্ঞাপন (২২৭নং এস আর ও) মতে, আইওসি’র গ্যাস ট্যাক্স-ভ্যাট মুক্ত। জনস্বর্থে তা নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। গ্যাস বা সিএনজির দাম না বাড়িয়ে বিদ্যমান মূল্যহার বলবৎ রাখা হলে জনগণের প্রত্যাশা পুরণ হবে। গ্যাস উৎপাদনে নিয়োজিত জাতীয় কোম্পানীসমূহের সক্ষমতা উন্নয়ন পরিকল্পনা বিইআরসি কর্তৃক অনুমোদিত না হওয়া পর্যন্ত গ্যাস উন্নয়ন তহবিলের অর্থ ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকা প্রয়োজন। প্রেট্টোবাংলার আয়-ব্যায় খতিয়ে দেখাসহ আইওসি’র গ্যাস বাবদ পেট্টোবাংলার আয়-ব্যায় অডিট করানোর জন্য বিইআরসি’র উদ্যোগ নেয়া দরকার বলেও তিনি মনে করেন।
তিনি বলেন, কোম্পানিসমূহ থেকে পেট্টোবাংলা যে সার্ভিস চার্জ পায়,তা গণশুনানির মাধ্যমে বিচারিক প্রক্রিয়ায় বিইআরসি কর্তৃক নির্ধারিত হওয়ার ব্যাপারে আইনী বাধ্যবাদকতা রয়েছে।