ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী যুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনকে আপত্তিকর ভাষায় একের পর এক আক্রমনের ধারাবাহিকতায় এবার সাবেক এক বিশ্বসুন্দরীকে খোঁচা মেরে বসলেন । যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের মনোনীত এ প্রার্থী শুক্রবার এক ট্যুইটে সাবেক ‘মিস ইউনিভার্স’ অ্যালিসিয়া মাচাদো’র অতীত ইতিহাস ও ‘সেক্স টেপ’ খতিয়ে দেখতে আমেরিকানদের প্রতি আহ্বান জানান। খবর বিবিসি’র।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, যদিও ট্রাম্পের সঙ্গে অ্যালিসিয়ার এক সময় সম্পর্কটা বেশ ঘনিষ্ঠই ছিল। কিন্তু নির্বাচনী যুদ্ধে প্রতিপক্ষের দূর্গে আঘাত হানতে গিয়ে তিনি অ্যালিসিয়াকেও ছাড়েননি। লাতিন এ সুন্দরীকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিতে হিলারি ‘সহযোগিতা’ করেছেন বলে অভিযোগ ট্রাম্পের।
১৯৯৬ সালে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন ভেনেজুয়েলায় জন্ম নেয়া অ্যালিসিয়া।
ট্যুইটারে ট্রাম্প বলেন, ”মাথা খারাপ হিলারি কি বিরক্তিকর অ্যালিসিয়া মাচাদোকে (তার সেক্স টেপ ও অতীত খতিয়ে দেখুন) যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব দিয়েছিলেন, যেন তাকে বিতর্কে ব্যবহার করা যায়?”
ছাড়েননি হিলারিও। প্রতিক্রিয়ায় একে ‘বিকৃতমস্তিষ্কের বক্তব্য’ বলে অ্যাখ্যা দিয়ে হিলারি বলেন, ”ডোনাল্ডের (ট্রাম্প) সরু চামড়ার নিচ দিয়ে যখন কিছু যায়, তিনি তাকে একটুও ছাড় দেন না। এ ধরনের আচরণ একজন প্রেসিডেন্টের জন্য বিপজ্জনক হবে।”
অন্যদিকে ট্রাম্পের ট্যুইটকে পুরুষবাদী অভিহিত করে অ্যালিসিয়া বলেছেন, নারী সম্বন্ধে তার ধারণা ‘বিরক্তিকর’।
”যে আক্রমণ আমাকে করা হয়েছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যায় ভরপুর; এ ধরনের বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে রিপাবলিকান প্রার্থী নারীদের কলঙ্কিত করতে চাইছে, নীতিহীন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন- যা তার স্বভাবেও আছে”, বলেন অ্যালিসিয়া।