পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেও এর সত্যতা মেলে। শিখর পরিবহনের কন্ডাক্টর হযরত আলী ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘যাত্রাবাড়ী থেকে মিরপুরের ভাড়া ৩৫ টাকা নিচ্ছি। আমাদের এটা গেট লক পরিবহন। যাত্রাবাড়ী থেকে ফার্মগেট, ফার্মগেট থেকে মিরপুর- দুই ভাগে ভাড়া দিতে হয়। এই দুই গন্তব্যের মধ্যে যেখানেই নামা হোক ভাড়া দিতে হয় একই।
যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া কেন আদায় করছেন জানতে চাইলে কদমতলী থেকে চিড়িয়াখানাগামী দিশারী পরিবহনের কন্ডাক্টর আক্তার হোসেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমাদের এটা গেটলক সাভিস। যেখানেই নামেন মাঝখানে ফার্মগেট এবং চিড়িয়াখানার ভাড়া দিতে হয়। সে ক্ষেত্রে কদমতলী থেকে ফার্মগেট দিতে হবে ৩৫ টাকা এবং ফার্মগেট থেকে দিতে হবে ৩৫ টাকা।’ এ্ নিয়ে যাত্রীদের কোনো অভিযোগ নেই বলে দাবি করেন তিনি।
তার একটু বাদে যাত্রী আসলাম হোসেনের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে যান কন্ডাক্টর আক্তার। পরে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘কদমতলী থেকে যেখানে ২০ টাকা ভাড়া সেখানে সে দাবি করছে ৩৫ টাকা। আমরা এদের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছি। দেখার যেন কেউ নেই। গেটলক বলেও গুলিস্তান থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত ছয়জন যাত্রী উঠিয়েছে গাড়ি থামিয়ে।’
যাত্রীদের কাছ থেকে বাসওয়ালাদের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় প্রসঙ্গে কথা হয় শাহবাগ ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট আরিফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘যদি কোনো যাত্রী আমাদের কাছে এসে অভিযোগ করে তখন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হয়। প্রায় প্রতিদিন এ রকম অনেক অভিযোগ আসে, আমরাও ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ যাত্রীরা সচেতন হলে এই সমস্যা ৯০ ভাগ কমে যাবে বলে মনে করেন এই সার্জেন্ট।
আরিফুল আরো জানান, রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ট্রাফিক বিভাগ থেকে ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করা হয় পরিবহনে নৈরাজ্য ঠেকাতে।
গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) বিজয় ভূষণ পাল ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমরা বিআরটিএর পক্ষ থেকে প্রতিদিন মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। যদি কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ দেয় সে ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।’