হাবিবুল্লাহ ফাহাদ

মন্ত্রিত্ব পাওয়ার পর দেশব্যাপী ছুটে বেড়াচ্ছেন। কখনো মহাসড়কে, কখনো বিআরটিতে, কখনো ঝটিকা অভিযান ঢাকার রাস্তায়। বিআরটিসি গাড়ি থামিয়ে শাসাচ্ছেন চালককে। বিআরটিতে অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে দালাল ধরেছেন। আবার চালককে আসন থেকে নামিয়ে কান ধরে উঠবস করিয়েছেন হরহামেশা। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকতে এক রেলকর্মীকে চড় বসিয়েছেন গণমাধ্যমের ক্যামেরার সামনেই।

‘ভাষণ’ নয় ‘অ্যাকশনেই’ পরিচয় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের। তিনি বলেনও তা। এত ‘অ্যাকশনের’ পরও সড়কে শৃঙ্খলা আনা যায়নি, স্বীকার করেছেন মন্ত্রী নিজেই। দায় নিয়েছেন। বলেছেন, সড়ক পরিবহন ও সড়ক ব্যবস্থাপনা এবং পরিবহনে শৃঙ্খলা আনার ক্ষেত্রে তার ব্যর্থতা রয়েছে।

এবারের ঈদুল আজহার আগে এবং পরে মোট ১২ দিনে ১৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ২৪৮ জন। আহতের সংখ্যা হাজারের বেশি। মন্ত্রী এটাকে তুলনা করেছেন ‘পাখির মতো মৃত্যুর’ সঙ্গে। চালকের বেপরোয়াভাব, অদক্ষতা এবং অসংযতভাবে গাড়ি চালানোকে এ জন্য দায়ী করেছেন। সেই দায় থেকে নিজেকেও বাইরে রাখেননি। প্রশ্ন, সড়কে মৃত্যু মিছিলের দায় তিনি নিয়েছেন ঠিক, কিন্তু এরপর? এভাবে কতকাল চলবে? আর কতকালই বা দায় নেবেন ওবায়দুল কাদের? দায় নিলেই কি দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়?

মন্ত্রী বলেছেন, দুর্ঘটনার ঝুঁকি বিচারে ১৪২টি ‘ব্ল্যাক স্পট’ চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো উন্নয়নের কাজ চলছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে তা শেষ হবে বলে জানান তিনি। সড়ক পরিবহন এবং দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করে এমন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সড়কে দুর্ঘটনা তো নতুন কিছু নয়। প্রতিবছর ঈদে বাড়িতে যাওয়া-আসার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। বছরজুড়ে মন্ত্রী নানা পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বললেও সত্য এই যে, অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু ঠেকানোই যাচ্ছে না।

বিভিন্ন সময় মন্ত্রীর বক্তব্য-বিবৃতি বিশ্লেষণ করে ওঠে এসেছে প্রকৃত চিত্র। সর্বশেষ আওয়ামী লীগ নতুন করে ক্ষমতায় আসার পর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘আজ থেকে কঠিন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে। যানজট, অবৈধ দখল মুক্ত, দুর্ঘটনা হ্রাস হবে এর অন্যতম।’ তার ভাষায় ‘প্রথম রাতেই’ বেড়াল মারতে হয়।

আদৌ কি কথা রাখতে পেরেছেন মন্ত্রী? ঢাকা কিংবা ঢাকার বাইরে মহাসড়কগুলোতে যানজট কি কমেছে? শৃঙ্খলা কি ফিরেছে রাস্তায়? পরিবহন খাতের সেই বিশৃঙ্খলারই বা কোনো গতি হয়েছে? ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলাচল ঠেকাতে অভিযান হয়েছে একের পর এক, কাজে এসেছে কোনোটা? অভিযানের সময় সাময়িকভাবে ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় কম দেখা গেলেও অভিযান শেষ হতে আবারও যেই সেই অবস্থা চোখে পড়ে।

ফুটপাতসহ সড়কের পাশে পার্কিং, দোকানপাট কিংবা পাকা স্থাপনা সরানোর যে প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছিলেন তা রাখা সম্ভব হয়নি। দু-একটি ছাড়া ঢাকার ফুটপাত এখনো অবৈধ দখলেই আছে। দখলদাররাও আছেন বহাল তবিয়তে। দুর্ঘটনা কমাতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন কোনো সিএনজিচালিত অটোরিকশা উঠবে না মহাসড়কে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখেও তিনি থমকে যাননি ঠিক। কিন্তু কদিন সম্ভব হয়েছে নিষেধাজ্ঞা ধরে রাখা? খুব বেশিদিন নয়। ছয় মাস যেতে না যেতেই সিএনজি অটোরিকশা ওঠে এসেছে মহাসড়কে। আগের মতো ব্যাপক হারে না চললেও একেবারে বন্ধ হয়ে যায়নি।

একইভাবে রাজধানী ও চট্টগ্রামে মিটারে অটোরিকশা চলাচল, ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ, বাসে নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত আদায় বন্ধে নানা সময় অনেক প্রতিশ্রুতি, নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। কিন্তু ফল শূন্য। জনভোগান্তি আর পকেট কাটা কমানো যায়নি এতটুকু।

এবারের ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে বলেছেন, ‘‘আমাদের অনেক সমস্যা। এদেশের মানুষ, বিশেষ করে শিক্ষিত ‘অসাধারণ’ মানুষরা আইন মানতে চায় না। তারা যখন চলে, তখন তারা রাস্তার উল্টো দিক দিয়ে গাড়ি চালায়। আমি অনেককে দেখেছি। তারা উল্টোপথে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে। উল্টোপথে গাড়ি চালালে ট্রাফিক জ্যাম হবেই।”

মন্ত্রীর এই বক্তব্য যানজটের সাময়িক ব্যাখ্যা দাঁড় করানো গেলেও যানজট থেকে মুক্তি মেলেনি। বরং সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দুর্ঘটনার পেছনে অদক্ষ চালককে দায়ী করেছেন। যৌক্তিক বটে। কিন্তু এই ‘অদক্ষ’ চালকের লাইসেন্স দিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। আর এই সংস্থাটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে। তাহলে বিআরটিএর কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার যে প্রতিশ্রুতি ইতিপূর্বে দেওয়া হয়েছিল তার কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে, এনিয়ে আছে বড়সড় প্রশ্ন।

সূত্র জানায়, এখনো টাকায় কলকাঠি নড়ে বিআরটিএতে। অদক্ষ চালক থেকে শুরু করে ন্যূনতম যোগ্যতা না থাকলেও মিলছে চালকের লাইসেন্স। শুধু চালকই নয় ফিটনেসবিহীন গাড়িও ফিটফাট হচ্ছে কাগজে কলমের খোঁচায়। এসব বিআরটিএর ওপেন সিক্রেট বিষয়। কিন্তু এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া কঠিনই হয়ে পড়েছে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন এই সময়কে বলেন, গাড়ির অতিরিক্ত গতি, ওভার টেকিং, নিয়ম না মানার প্রবণতা এবং জনসচেতনতার অভাবে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে। এখন ৮০ শতাংশ দুর্ঘটনা সোজা রাস্তায় ঘটছে। চালকরা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাচ্ছেন। চালকরা দুর্বল প্রশিক্ষণ নিয়ে রাস্তায় নামছেন। সঠিকভাবে লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে না।

তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উদাহরণ দিয়ে বলেন, এখন রাস্তায় ডিজিটাল ক্যামেরা বসাতে হবে। এই যন্ত্রপাতির দামও বেশি নয়। তাহলে ৫০ শতাংশ দুর্ঘটনা কমে আসবে। কারণ চালকরা গতিসীমা মানছেন না। যখন ডিজিটাল ক্যামেরায় ধরা পড়বে, জরিমানা দেবেন তখন নিজ থেকেই সাবধানে গাড়ি চালাবেন। একই সঙ্গে জনগণকে সচেতন হতে হবে।

তবে সড়ক দুর্ঘটনা পুরোপুরি ঠেকানো না গেলেও অতিরিক্ত দুর্ঘটনা ঠেকানো যে সম্ভব তার প্রমাণ আছে দেশেই। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জোকা মোড়। এমন কোনো বছর ছিল না যে, ওই মোড়ে দুর্ঘটনা ঘটত না। কিন্তু ওই সড়কটির ত্রুটি খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়ার পর এখন আর সেখানে দুর্ঘটনা ঘটছে না। একইভাবে যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে পশ্চিম সংযোগ সড়কের প্রায় দীর্ঘ ৩২ কিলোমিটার সড়ক ছিল ভয়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ। বছর দুয়েক আগেও ঈদ মৌসুমে ওই সড়কে দুর্ঘটনায় ব্যাপক প্রাণহানি ঘটেছে। কিন্তু এবার ওই সড়কে তেমন কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। কারণ ত্রুটিপূর্ণ ওই সড়কটি মেরামত করা হয়েছে। এটা হয়েছে নিভৃতেই, কোনো ঘোষণা দিয়ে নয়।

বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, পরিবহনমন্ত্রী সড়ক-মহাসড়ক নিয়ে অনেক কথা বলেন। এই উদ্যোগ সেই উদ্যোগের কথা শুনি। কিন্তু বাস্তবে তো তার খুব একটা প্রতিফলন দেখি না। যদি এর কোনো ফলাফল পাওয়া যেত তাহলে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় শতাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটত বলে আমার মনে হয় না।

মন্ত্রীই বলেছিলেন ‘কথা কম বলে কাজ বেশি করতে’

গত বছরের ১৩ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের ভালো কথার স্টক ফুরিয়ে গেছে। আমরা যত ভালো কথা বলেছি সে তুলনায় ভালো কাজ করছি না। এদেশের মানুষ ভালো কথা শুনতে শুনতে টায়ার্ড হয়ে গেছে। তাই বেশি বেশি ভালো কথা না বলে, আমাদের বেশি বেশি ভালো কাজ করতে হবে। এখন থেকে ভাষণ কম, অ্যাকশন বেশি।’ রাজনীতিবিদদের লাগামহীন জিহ্বাকে বড় সমস্যা হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘তারা কথাবার্তা বলার সময় সব নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এছাড়া আরেকটা বড় সমস্যা হচ্ছে দায়িত্বজ্ঞানহীন রাজনীতি, সেন্সলেস পলিটিক্স।’

কথাই সাড়…

সড়ক দুর্ঘটনা ঈদ উৎসবের আনন্দে নিয়ে আসে বিষাদের ছায়া। দাঁড় করিয়ে দেয় অপূরণীয় ক্ষতির। প্রতি বছরই সড়ক দুর্ঘটনার পর বেশ তোড়জোড় শুরু হয়। খুঁজে বের করার হয় দুর্ঘটনার কারণ। বক্তৃতা-বিবৃতিও কম শোনা যায় না। চালকদের বেপরোয়াপনার কঠোর সমালোচনা ও শাস্তির কথা বলা হয়। আদতে ওই বলা পর্যন্তই। এর বেশি কিছু হয় না। কদিন যেতে না যেতেই সব শান্ত হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত সড়কে মানুষ হত্যার বিচার হয়েছে খুবই কম। বরং বিচারের দাবি উঠেছে বেশুমার। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার আদৌ প্রকৃত আর্থিক ক্ষতিপূরণ পায় কি না তাও জানা যায় না। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর এই কঠিন নিয়তি অগত্যা মেনে নেওয়া ছাড়া কিছুই করার থাকে না স্বজন হারানো পরিবারের।

শুধু সড়কের পরিবহন যাত্রীরাই নয়, পথচারীরাও নিরাপদ নয় বেপরোয়া চালকদের থেকে। ঘটনাটি ঈদের পর দিন ঢাকার মিরপুরের শেওড়াপাড়ায়। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন এক দম্পতি। শেওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ডের ফুটপাতে সিএনজি অটোরিকশার জন্য অপেক্ষা করছিলেন এক বয়স্ক দ¤পতি। এ সময় একটি বেপরোয়া প্রাইভেট কার রাস্তা ছেড়ে ফুটপাতে ওঠে তাদের ধাক্কা দেয়। প্রাণ হারান তারা দুর্ঘটনা নামের এক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, প্রাইভেট কারের চালক ও যাত্রী যুবকরা সবাই ছিল মদ্যপ অবস্থায়। গাড়ি থেকে তারা পালিয়ে যেতেও সমর্থ হয়। ঘাতক গাড়িতে মিলেছে মদের বোতলও।

তিনি নিজের ‘স্টাইলে’ কাজ করছেন

পরিবহনমন্ত্রীর হঠাৎ সড়কে-মহাসড়কে অভিযানকে বিভিন্ন সময় ‘লাফালাফি’ বা ‘দাপাদাপি’ বলেও মন্তব্য করেছেন সরকারের মন্ত্রীদের কেউ কেউ। কিন্তু তারপরও দমে যাননি ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, যে যাই বলুক তিনি নিজেরই ‘স্টাইল’ বজায় রেখেই কাজ করে যেতে চান।

২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি তৎকালীন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী (বর্তমানে জনপ্রশাসনমন্ত্রী) সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘লাফালাফি করা, সাংবাদিকদের হাতে নেওয়া, হাতে তালি দেওয়া, মিডিয়াকে উপস্থিত করাই যদি মূল উদ্দেশ্য হয়; তাহলে কিন্তু প্রতিদিনই আমরা ব্রিজ-কালভার্ট দেখতে যেতে পারি।’

জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি যে স্টাইলে কাজ করি তা জনগণের পছন্দের স্টাইল, বাংলাদেশের জনগণ আমার এ স্টাইল নিশ্চয়ই পছন্দ করে। যে যেটাই বলুন, লাফালাফি বলুন, দাপাদাপি বলুন, আমি আমার স্টাইলে কাজ করি। মানুষের মনের ভাষা, চোখের ভাষা বুঝি, মানুষ যেটা পছন্দ করে সেটাই করি, আমি নিজের চেহারা দেখানোর জন্য কোথাও যাই না, যেখানেই যাই রাস্তায়-ব্রিজে কাজ দেখার জন্য যাই। সেই কাজ সাংবাদিকরা দেখান কোনো কিছুর বিনিময়ে নয়, কাজ দেখানোর জন্যই যান।’ তিনি এও বলেন, ‘কে খুশি হলো, আর কে হলো না, তা না দেখে কাজ করে যাব। রাস্তায় যাব, ব্রিজে যাব, যেখানে যখন দরকার হবে সেখানে যাব, গাড়ি চেক করতে যাব, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা দেখতে যাব। এ কাজগুলো আরো বেশি বেশি করব, সারা দেশেই যাব।’ তার ভাষায়, জনগণ মন্ত্রীদের কাছে কথা শুনতে চায় না, কথা বিশ্বাস করে না, কাজ দেখতে চায়।

‘মনের ছটফটানি থেকে’ ছুটে বেড়ান তিনি

ওবায়দুল কাদের ছুটোছুটি করেন মনের ছটফটানি থেকে। তিনি মনে করেন সরাসরি তদারকি না করলে হয়ত কাজটা ভালো হবে না। গত বছরের ১২ নভেম্বর ‘সড়ক ও জনপথ প্রকৌশলী সমিতির’ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘রাস্তায় রাস্তায় এখনো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঘুরি। ইন্টিলিজেন্স আমাকে নিষেধ করে, বিভিন্ন মহল থেকে না করে; তারপরও মনের মধ্যে একটি ছটফটানি কাজ করে, আমি না গেলে হয়ত কাজটা ভালোভাবে হবে না।’ বিভিন্ন সড়কে কাজ পরিদর্শনে গিয়ে বিভিন্ন কর্মকর্তাকে শাস্তি দেওয়ার বিষয়ে বলেন, ‘সবখানে না হলেও কোথাও কোথাও চুরির অভিযোগও আছে। কোথাও কোথাও এসব হচ্ছে, সেখানে গিয়ে অবশ্যই শাস্তি দিতে হবে। তারপরও কঠিন নয়, অনেক লঘু শাস্তি দিচ্ছি।’

লেখক: সাংবাদিক

Share Now
December 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031